শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মুম্বই, ১২ অক্টোবর (পিটিআই): দেশের আর্থিক অবস্থা মোটেই খারাপ নয়। প্রমাণ করতে বলিউড সিনেমার সাফল্যকে হাতিয়ার করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর কথায়, ২ অক্টোবর মুক্তি পাওয়ার দিনেই তিনটি সিনেমা ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হলে এমনটা হতো না। তাঁর মতে, বলিউড সিনেমার এই সাফল্য থেকে বলা যায়, দেশে আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি নেই। এমনকী তিনি ২০১৭ সালে বেকারত্ব নিয়ে প্রকাশিত সরকারি এনএসএসও রিপোর্টকেও খারিজ করে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই রিপোর্টে দেশে বেকারত্বের হার ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। রবিশঙ্কর প্রসাদের এই নয়া তত্ত্বের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাত ট্যুইটে লিখেছেন, যখন মানুষ কাজ হারাচ্ছেন, কারখানা বন্ধ হচ্ছে, তখন দেশে আর্থিক মন্দা নেই বোঝাতে সরকার সিনেমার আয়ের কথা বলছে। মানুষের ভবিষ্যৎ বিপদের মধ্যে রয়েছে। তখন কী তাঁরা সিনেমা দেখতে যাবেন?
দেশের একের পর এক আর্থিক সূচকে অবনমন লক্ষ্য করা গিয়েছে। গাড়ির বিক্রি কমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক সংস্থা সাময়িকভাবে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বত্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের হয়ে সাফাই দিতে রবিশঙ্কর সিনেমার সাফল্য তুলে ধরলেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার বিজেপির হয়ে প্রচার সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতামত বিনিময়ের সময় রবিশঙ্কর বলেন, ‘২ অক্টোবর, জাতীয় ছুটির দিন। আমাকে জানানো হয়েছে, ওইদিন তিনটি হিন্দি সিনেমা ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত না হলে, কীভাবে একদিনে মাত্র তিনটি সিনেমা এত টাকার ব্যবসা করল?’
সম্প্রতি আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানিয়েছে, বিশ্ব আর্থিক মন্দার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়েছে ভারত এবং ব্রাজিলে। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে ৯০ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি থমকে গিয়েছে। এই নিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘ভারত নিয়ে আইএমএফের সমীক্ষা এখনও অসম্পূর্ণ। ভুলে যাবেন না, মনমোহন সিং যখন ক্ষমতায় ছিলেন, ভারত তখন ১১তম স্থানে ছিল। এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। আমরা ফ্রান্সকেও পিছনে ফেলে দিয়েছি।’ তাঁর দাবি, বৈদ্যুতিন উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র, মুদ্রা ঋণ, বাণিজ্যিক পরিষেবার মতো ক্ষেত্র ভালো ফল করেছে। কিছু মানুষ বেকারত্ব নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে বলে এদিন তিনি অভিযোগ করেন।
দেশের একের পর এক আর্থিক সূচকে অবনমন লক্ষ্য করা গিয়েছে। গাড়ির বিক্রি কমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক সংস্থা সাময়িকভাবে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে। দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বত্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের হয়ে সাফাই দিতে রবিশঙ্কর সিনেমার সাফল্য তুলে ধরলেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার বিজেপির হয়ে প্রচার সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতামত বিনিময়ের সময় রবিশঙ্কর বলেন, ‘২ অক্টোবর, জাতীয় ছুটির দিন। আমাকে জানানো হয়েছে, ওইদিন তিনটি হিন্দি সিনেমা ১২০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত না হলে, কীভাবে একদিনে মাত্র তিনটি সিনেমা এত টাকার ব্যবসা করল?’
সম্প্রতি আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানিয়েছে, বিশ্ব আর্থিক মন্দার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়েছে ভারত এবং ব্রাজিলে। ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে ৯০ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি থমকে গিয়েছে। এই নিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘ভারত নিয়ে আইএমএফের সমীক্ষা এখনও অসম্পূর্ণ। ভুলে যাবেন না, মনমোহন সিং যখন ক্ষমতায় ছিলেন, ভারত তখন ১১তম স্থানে ছিল। এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। আমরা ফ্রান্সকেও পিছনে ফেলে দিয়েছি।’ তাঁর দাবি, বৈদ্যুতিন উৎপাদন, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র, মুদ্রা ঋণ, বাণিজ্যিক পরিষেবার মতো ক্ষেত্র ভালো ফল করেছে। কিছু মানুষ বেকারত্ব নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে বলে এদিন তিনি অভিযোগ করেন।
