বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে লিগ শিল্ডের লড়াইতে এই মুম্বইকেই বশ মানায় মোহন বাগান। সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তির আশায় শনিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ভরিয়ে তুলেছিলেন হাজার হাজার সবুজ-মেরুন সমর্থক। জিতলেই নিশ্চিত ত্রিমুকুট। স্বভাবতই তুঙ্গে ছিল উন্মাদনা। অথচ মোক্ষম সময়ে মুখ থুবড়ে পড়ল গোটা দল। জেসন কামিংসের লক্ষ্যভেদে লিড এলেও শেষরক্ষা হয়নি। বরং ড্যাং ড্যাং করে বিজয়ধ্বজা ওড়ালেন ছাংতেরা। ম্যাচের কথায় আসা যাক। মুম্বইয়ের আক্রমণ খুবই শক্তিশালী। বিশেষ করে ছাংতে, বিপিন, বিক্রমপ্রতাপের মতো উইং হাফ দলের সম্পদ। বক্স স্ট্রাইকার পেরেরা ডিয়াজ গোলের গন্ধ পায়। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের প্রথম লেগের সেমি-ফাইনাল মনে করুন। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে ছাংতেরা। অবশেষে ফার্গি টাইমে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। কার্যত হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ গোলে জেতে ক্র্যাটকির দল। এতেই প্রমাণিত এই টিমটা কতটা ভয়ঙ্কর। সেটা জেনেও ঝিমিয়ে রইলেন ইউস্তেরা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটা সময় তো পেনিট্রেটিভ জোনকে মুক্তাঞ্চল বানিয়ে ফেলেছিলেন বিপিনরা। সিটার নষ্ট না হলে লজ্জা আরও বাড়ত।
হাবাস তিন ডিফেন্ডারে দল সাজাতে অভ্যস্ত। সেই স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত ব্যর্থ। শুরু থেকেই প্রেসিং ফুটবল খেলল প্রতিপক্ষ। আর মোহন বাগান চাপ ইনভাইট করে গেল। ডিয়াজ যখন গোল করেন ডিফেন্ডাররা কোথায় ছিলেন? পজিশনে নেই আনোয়ার। হেক্টর আর শুভাশিসও তথৈবচ। পরিকল্পনা বদলে কেন চার ডিফেন্ডারে গেলেন না হাবাস? প্ল্যান ‘বি’র অভাব বোঝা গেল এই পর্বে। রক্ষণে কড়া ট্যাকলার নেই। উইং হাফরা ট্র্যাক ব্যাক করে হাঁফিয়ে গেলেন। ডাগ আউটের দ্বৈরথেও হাবাসকে হারালেন পিটার ক্র্যাটকি। আগামী মরশুমে দল এসিএল টু খেলবে। রক্ষণ নিয়ে এখন থেকেই ভাবুক ম্যানেজমেন্ট।
পালতোলা নৌকার মাঝমাঠ অন্যতম সেরা। দিমিত্রি, জনি কাউকোরা শাফল করে বিপক্ষকে ধাঁধায় ফেলেন। বড় চেহারার জনি এই ম্যাচে ফ্লপ। আপুইয়ার তাড়া খেয়ে খেই হারালেন। খারাপ দিনে যাবতীয় ঘাটতি ঢেকে দিতে পারে তাগিদ। সেখানেও অনেক এগিয়ে রইল মুম্বই সিটি।