বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ম্যাচের শেষ বাঁশি তখনও বাজেনি। স্টেডিয়ামের অর্ধেক আসন শূন্য! ৬২ হাজার যুবভারতীতে যেন নেমে এসেছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তারই মধ্যে ভিআইপি বক্সের ডানপ্রান্তে বিজয়োল্লাসে মাতোয়ারা মুম্বই সিটি এফসি অনুরাগীরা। মাত্র ১৮ দিন আগেই এই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিগ-শিল্ডের খেতাব নির্ণায়ক লড়াই হেরে হতাশায় মাঠ ছেড়েছিলেন ছাংতে-রাহুল ভেকেরা। শনিবার রাতে তারই মধুর প্রতিশোধ নিল পিটার ক্র্যাটকির দল। ২০২১ সালের পর ফের চ্যাম্পিয়ন বাণিজ্য নগরীর দলটি। প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গতিতে শুভাশিস-ইউস্তেদের বশ মানালেন ছাংতেরা। তবে ম্যাচের অন্যতম নায়ক অবশ্যই সুপার-সাব বিপিন। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে ডিয়াজ, ছাংতেদেরও। আর স্ট্র্যাটেজির লড়াইয়ে অভিজ্ঞ হাবাসকে টেক্কা দিলেন ক্র্যাটকি। ম্যাচের শেষে ৪২ বছর বয়সি চেক কোচকে কাঁধে তুলে উচ্ছ্বাসে মাতলেন ফুটবলাররা। পিটার অবশ্য সাফল্যের যাবতীয় কৃতিত্ব দিলেন ছেলেদের।
চ্যাম্পিয়নের পদক হাতেই মুম্বই কোচের মন্তব্য, ‘বিপিনের গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তবে ফাইনালের আগে অনেকেই আমাদের পিছিয়ে রেখেছিলেন। তার জবাব ছেলেরা মাঠেই দিয়েছে। পিছিয়ে পড়েও আমরা হাল ছাড়িনি। বরং পোস্ট ভাগ্য সহায় থাকলে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতাম।’ একটু থেমে জুড়লেন, ‘মোহন বাগানের আপফ্রন্ট খুবই শক্তিশালী। তাদের শান্ত রাখাটা সহজ ছিল না। তবে মাঠে ছেলেরা দৃঢ় মানসিকতার প্রমাণ রেখেছে। এই সাফল্য প্রতিটি মুম্বই সমর্থককে উৎসর্গ করছি।’
আইএসএলের ইতিহাসে ‘হেড টু হেড’-এর নিরিখে মোহন বাগানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে মুম্বই। তবে লিগের ফিরতি পর্বে যুবভারতীতে হেরে মাঠ ছেড়েছিল ক্র্যাটকি-ব্রিগেড। সেই ম্যাচে ড্র করলেই লিগ-শিল্ড ঘরে তুলতেন মেহতাবরা। তবে কোথাও অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলার খেসারত গুণতে হয়েছিল তাঁদের। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শনিবার শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে মুম্বই। প্রতিপক্ষের সেরা খেলোয়াড় দিমিত্রিকে রুখতে বাড়তি জোর দিয়েছিলেন জয়েশ রানে-তিরিরা। তবে প্রথমার্ধে ক্ষণিকের ভুলেই গোল হজম করে মুম্বই। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে রূপকথার প্রত্যাবর্তন। এই প্রসঙ্গে কোচ ক্র্যাটকির মন্তব্য, ‘বক্সের ২০ গজের আশেপাশে দিমিত্রি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা আবারও প্রমাণিত। তবে দল হিসেবে মোহন বাগানকে টেক্কা দিতে সফল আমরা। এখন সময় শুধুই সেলিব্রেশনের।’