বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ক্রিকেটমহলে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল পন্থকে নিয়ে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন তিনি। একের পর এক অস্ত্রোপচার এবং রিহ্যাব শেষে আইপিএলে মাঠে ফিরেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। দেড়শোরও বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩৯৮ রান করেছেন। কিপার হিসেবেও স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে তাঁকে। স্যামসনের আবার এটাই প্রথম বিশ্বকাপ হতে চলেছে। দু’বছর আগের কাপযুদ্ধে দীনেশ কার্তিকের উপর আস্থা দেখানো হয়েছিল। এবারের কোটিপতি লিগে ছন্দে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন। ১৬১.০৮ স্ট্রাইক রেটে ৩৮৫ রান করেছেন সঞ্জু। এই দুই কিপারের অন্তর্ভুক্তির কারণেই ছিটকে গেলেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে ৩৭৮ রান করে ফেলেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু, ওপেন করেই তা এসেছে। সেখানে রোহিত ও যশস্বীর কারণে ‘নো ভ্যাকেন্সি’। মিডল অর্ডারে নেমে শেষ পর্যন্ত থেকে তুলে তুলে শটের ক্ষেত্রে কিপার হিসেবে পন্থ ও সঞ্জুর উপরই আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।
তবে লোকেশ নয়, স্কোয়াডে যাঁর না থাকা নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া, তিনি হলেন রিঙ্কু সিং। নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান তাঁকে বিশ্বকাপের দলে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশা অপূর্ণই থাকল। অথচ, বছরখানেক ধরে রিঙ্কুকেই ফিনিশার হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল। দেশের হয়ে এই ফরম্যাটে ২৬ বছর বয়সির ৮৯ গড় ও ১৭৬.২৩ স্ট্রাইক রেট রীতিমতো ঈর্ষণীয়। কিন্তু তারপরও রিজার্ভেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। এর একটা বড় কারণ পাওয়ার হিটার হিসেবে শিবমের উত্থান। আগে স্পিনের বিরুদ্ধেই বড় শট নিতেন। এবারের আইপিএলে পেসের বিরুদ্ধেও অনায়াসে খেলছেন তিনি। ৫৮.৩৩ গড় ও ১৭২.৪১ স্ট্রাইক রেটে সাড়ে তিনশো রানও করেছেন সিএসকে’র মিডল অর্ডার ব্যাটার।
স্যামসনের মতো যুজবেন্দ্র চাহালও নামবেন জীবনের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে। ২০২১ ও ২০২২ বিশ্বকাপে যথাক্রমে রাহুল চাহার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। তবে এবারের কোটিপতি লিগে ৯ ইকনমি রেটে ১৩ উইকেট নেওয়া লেগস্পিনারকে আর উপেক্ষা করা যায়নি। ফলে প্রত্যাবর্তন ঘটছে ‘কুল-চা’ জুটিরও। অবশ্য ছন্দে থাকা কুলদীপ যাদবের দলে থাকা প্রত্যাশিতই। দুই বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেলও রয়েছেন স্কোয়াডে। কিন্তু তা নিয়ে সমালোচনার মুখে নির্বাচকরা।
তিন বিশেষজ্ঞ পেসার হলেন বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ ও অর্শদীপ সিং। পরের দু’জনের নির্বাচন নিয়ে অবশ্য ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। দুই পেস অলরাউন্ডার হার্দিক ও শিবম। কিন্তু চোট সারিয়ে সরাসরি আইপিএল খেলেই বিশ্বকাপে হার্দিকের সুযোগ পাওয়া নিঃসন্দেহে বড় চমক। এক্ষেত্রে অনেকেই গুজরাত কানেকশন দেখছেন। রিজার্ভে শুভমান গিল, রিঙ্কুর সঙ্গে আছেন দুই পেসার খলিল আহমেদ ও আভেশ খান। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে অন্তত রিজার্ভে রাখা উচিত ছিল বলে দাবি অনেকের।