উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
প্রশ্ন: কোভিড পরিস্থিতির জন্য এবারের আইএসএল সম্পূর্ণ অন্য ফরম্যাটে হচ্ছে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সাফল্যের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
কুয়াদ্রাত: ফুটবলারদের মধ্যে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার ব্যাপারে সবসময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। আমি দলের মধ্যে সেই স্পিরিটই ফিরিয়ে আনতে চাইছি। গতবারের কোর গ্রুপ ধরে রেখেছি। শুধু সাইড ব্যাক নিশু কুমার চলে গিয়েছে চেন্নাইয়ান এফসি’তে। করোনা মহামারীর পর এবার আইএসএলে সাফল্য পেতে গেলে মানসিক কাঠিন্য প্রয়োজন। এবার হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ হচ্ছে না। ওই ফরম্যাটে লিগ খেলার আলাদা আনন্দ রয়েছে। প্রতিটি শহরের আবহাওয়া অন্যরকম। কলকাতা, কোচি ও ফাতোরদায় খেলতে গেলে আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকত। এবার ফুটবলারদের একঘেয়েমি গ্রাস করতে পারে। কারণ গোয়ায় একই হোটেলে আমাদের প্রায় ১৫০ দিন থাকতে হবে। ২০ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি মাঠে খেলতে হবে ২০টি ম্যাচ। হোটেলে থাকতে হবে জৈব বলয়ের মধ্যে। গোয়া আমার অতি প্রিয় রাজ্য। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও কোথাও যাওয়া যাবে না।
প্রশ্ন: বাঁ দিক দিয়ে উদান্তা সিং ও ডান দিক থেকে নিশু কুমার চমৎকারভাবে আক্রমণে যেতেন। এবারের আইএসএলে সেই কম্বিনেশন দেখা যাবে না। সমস্যায় পড়বেন?
কুয়াদ্রাত: হ্যাঁ, এই ব্যাপারটি আমাকেও ভাবাচ্ছে। আমরা লেফট ব্যাকে নতুন কিছু খেলোয়াড় নিয়েছি। চেন্নাই থেকে এসেছে অজিত। বিকল্প কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে।
প্রশ্ন: এফসি গোয়া কি বাড়তি সুবিধা পাবে?
কুয়াদ্রাত : এবারের আইএসএল হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। তাই এফসি গোয়া হয়তো তেমন সুবিধা পাবে না। সব দলই প্রায় দেড় মাস আগে পৌঁছে যাচ্ছে ওখানে। ফলে আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও কোনও অসুবিধা হবে না। ২০২১ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে গোয়া। দলে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ওদের তুলনায় বিএফসি কিংবা এটিকে মোহন বাগানের কোর গ্রুপ অপরিবর্তিত।
প্রশ্ন: আপনারা তো জুন থেকেই কার্যত প্রাক-মরশুম প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছেন।
কুয়াদ্রাত : লকডাউনের মধ্যে খেলোয়াড়দের ফোকাস ঠিক রাখতে আমাদের ফিজিক্যাল ট্রেনার জুন মাস থেকে ভার্চুয়াল ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছেন। আমার পরামর্শে জেএসডব্লু গ্রুপ গোয়ায় টিমের জন্য প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডের পাশাপাশি জিম, সুইমিং পুল, মেডিক্যাল সেন্টারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। গোয়ায় ১ অক্টোবর প্র্যাকটিস শুরু করছি আমরা।
প্রশ্ন: গত মরশুমে ফিরতি সেমি-ফাইনালে যুবভারতীতে আপনার দল কি নার্ভাস হয়ে পড়েছিল?
কুয়াদ্রাত : সেদিন এটিকে’র হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন প্রায় স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক। ডিমাসের শট ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে। সুনীলের একটি বৈধ গোল বাতিল করা হয়। আইএসএলে রেফারিংও বড় ফ্যাক্টর।