উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
সোমবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিলেও বড় রান তুলতে পারেনি চেন্নাই। রবীন্দ্র জাদেজা যদি ৩০ বলে অপরাজিত ৩৫ না করতেন, তাহলে ধোনি বাহিনীর স্কোর ৫ উইকেটে ১২৫ রানে পৌঁছাত না। যদিও তখনই বোঝা গিয়েছিল, রাজস্থান সহজেই জিতবে। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি স্মিথ বাহিনীর। বেন স্টোকস তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দীপক চাহারের বলে বোল্ড হন ১৯ রানে। রবীন উথাপ্পা (৪) পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন ধোনির হাতে। খাতা খুলতে পারেননি সঞ্জু স্যামসন। বলা ভালো সেই সুযোগ তাঁকে দেননি মাহি। পঞ্চম ওভারে চাহারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সঞ্জুর ক্যাচ বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে তুলে নেন সিএসকে অধিনায়ক।
একটা সময় রাজস্থানের স্কোর ছিল ৩ উইকেট ২৮। মনে হয়েছিল, লো স্কোরিং ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হবে। কিন্তু জস বাটলার ও স্টিভ স্মিথ সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৯৮ রান। মূলত বাটলারের ব্যাটেই রাজস্থান সহজেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নিতে সফল হয়। স্মিথ তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। বাটলার ৪৮ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। সাতটি চার ও দু’টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। স্মিথের সংগ্রহ ৩৪ বলে অপরাজিত ২৬ রান। ১৫ বল বাকি থাকতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান (১২৬/৩)।
অনেকেই হয়তো এদিন টিভি’র পর্দায় চোখ রেখেছিলেন ধোনি-ধামাকা দেখার আশায়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে রিফ্লেক্স কমেছে মাহির। না হলে তিনি যে সুযোগ এদিন পেয়েছিলেন, তাতে একটা অর্ধশতরানের ইনিংস তাঁর কাছে প্রত্যাশা করা মোটেও অমূলক ছিল না। স্যাম কুরান যখন আউট হন, তখন সিএসকে’র ইনিংসের বয়স ৮.২ ওভার। পাঁচ নম্বরে নামেন ধোনি। কিন্তু শুরুতে কিছুতেই ব্যাটে-বলে সেভাবে সংযোগ ঘটাতে পারছিলেন না। একটা সময় ১২ বলে করেন ৯ রান। তবে প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের গতি কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করেন সুপার কিংসের অধিনায়ক। তাঁরা যোগ করেন ৫১ রান। শেষ পর্যন্ত ২৮ করে রান আউট হন ধোনি। শুরুতেই ১০ রান করে ডাগ আউটে ফেরেন ফাফ ডু’প্লেসি। ২২ রান করেন স্যাম কুরান। শেন ওয়াটসনও (৮) ব্যর্থ। রাহুল তেওয়াটিয়া ফেরান আম্বাতি রায়াডুকে (১৩)। বৃথা গেল জাদেজার লড়াই।