শারজা: শনিবার রাতে সিএসকে’র বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। তবে হতাশ করেননি শিখর ধাওয়ান ও অক্ষর প্যাটেল। তাঁদের দৃঢ়তায় কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এক বল বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় দিল্লি। তারা ম্যাচটি জেতে পাঁচ উইকেটে। জয়ের নায়ক শিখর ধাওয়ান সেঞ্চুরি করেন। ম্যাচ শেষে ‘গব্বর’ বলেন, ‘ জাদেজা শেষ ওভার বল করায় আমরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছি। তবে এটা ধোনির ভুল নয়। শেষ ওভারে বল করার জন্য সে ডোয়েন ব্র্যাভোকে রেখেছিল। কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে কুঁচকির সমস্যায় ব্রাভোর মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাই আমাদের সুবিধা করে দিয়েছিল। জানতাম, শেষ ওভারে জাদেজাকেই বল তুলে দেবে ধোনি। কারণ জাড্ডুর প্রতি চিরকালই তার প্রচণ্ড আস্থা। আমি ও অক্ষর বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। জাদেজার বিরুদ্ধে স্বভাবতই বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলাম। তাছাড়া শিশিরজনিত কারণে জাদেজার বল গ্রিপ করতেও অসুবিধা হচ্ছিল।’ জাদেজার শেষ ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান অক্ষর প্যাটেল। শেষ পর্যন্ত ৫ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকতেন তিনি। তাঁর প্রশংসা করতে ভোলেননি ধাওয়ান। তিনি বলেন, ‘অক্ষর প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ। ও দলের সম্পদ। দলের প্রয়োজনে সব সময় বুক চিতিয়ে লড়ে যায়। অক্ষরের এই স্পিরিট আমার দারুণ লাগে। দিনে দিনে দুরন্ত অলরাউন্ডার হয়ে উঠছে সে।’
পৃথ্বী সাউ, শ্রেয়াস আয়ার, অজিঙ্কা রাহানে, মার্কাস স্টোইনিসরা ফিরে গেলেও একদিক আগলে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ধাওয়ান। ৫৮ বলে অপরাজিত ১০১ রান করেন তিনি। নিজের ইনিংস সম্পর্কে শিখর বলেছেন, ‘এবারের আইপিএলে আমার শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। তবে আমি আশাবাদী ছিলাম। বিশ্বাস ছিল নিজের উপর। ফোকাস হারাইনি। আইপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি করলাম। তাই আলাদা তৃপ্তি অনুভব করছি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে কঠিন পরিস্থিতিতেও দল জয় পাওয়ায়। লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছি আমরা। আইপিএলে আমাদের অতীত রেকর্ড একদম ভালো নয়। পরিসংখ্যানটা এবার আমরা বদলাতে মরিয়া। দলের প্রত্যেক সদস্যই চমৎকার দায়িত্ব পালন করছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিশাহির আবহাওয়া ক্রিকেটের অনুকূল নয়। নিজেদের তরতাজা রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’