পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তবে পর্তুগিজ মহাতারকাকে পিছনে ফেলে প্রচারের শিরোনাম দখল করলেন গিয়ানলুইগি বুফোঁ। জুভেন্তাসের হয়ে সবথেকে বেশি লিগ ম্যাচ খেলার রেকর্ড অনেক আগেই গড়েছিলেন তিনি। গোলকিপার হিসেবে সব থেকে বেশি সিরি-এ ম্যাচ খেলার নজিরও রয়েছে তাঁর ঝুলিতেই। আড়াই দশকের দীর্ঘ কেরিয়ারে শনিবার বুফোঁ পৌঁছে গেলেন ইতালিয়ান লিগের এভারেস্টে। বিশ্বকাপ জয়ী এই কিংবদন্তির মাইলস্টোনের ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল জুভেন্তাস কর্তৃপক্ষ। তাঁর ৬৪৮তম ম্যাচের জন্য বিশেষ জার্সি তৈরি করে তারা। শুধু বুফোঁর জার্সিতেই নয়, গোটা দলের জার্সির হাতায় লেখা ছিল ‘৬৪৮ ইউফোন’। তবে সেরা উপহারটা তিনি পেলেন সতীর্থদের কাছ থেকে। ঐতিহাসিক ম্যাচে একটা দুরন্ত জয়।
তুরিন ডার্বিতে তোরিনোকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে খেতাব জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল মরিসিও সারির দল। এদিন আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেন পাওলো ডায়বালা ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই নিয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচে গোল করলেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, জুভেন্তাসে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম ফ্রি-কিক থেকে গোল করলেন রোনাল্ডো। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৪৩ বারের চেষ্টায় সেই সাফল্য পেলেন তিনি। শেষবার ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছিলেন পতুর্গিজ তারকাটি। এবারের লিগে এটি রোনাল্ডোর ২৫ নম্বর গোল। ১৯৬০-৬১ মরশুমে ওমর সিভরি শেষবার জুভেন্তাসের জার্সিতে সিরি-এ’র একই মরশুমে ২৫ গোল করেছিলেন। দীর্ঘ ৫৯ বছর পর ফের কোনও জুভেন্তাস ফুটবলার হিসেবে এই নজির গড়লেন সিআর সেভেন। তবে লিগের এক মরশুমে জুভেন্তাসের হয়ে সর্বাধিক গোলের রেকর্ডটি রয়েছে ফেলিস বোরেলের দখলে। ১৯৩৩-৩৪ মরশুমে ৩২টি গোল করেছিলেন তিনি।
যাইহোক, শনিবারের ম্যাচে রোনাল্ডো ও ডায়বালা ছাড়া জুভেন্তাসের অপর গোলদাতা হলেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। আর শেষ গোলটি আত্মাঘাতী। এই জয়ের সুবাদে ৩০ ম্যাচে জুভেন্তাসের পয়েন্ট দাঁড়াল ৭৫। লিগে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাজিওর থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে মরিসিও সারির দল।