কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এরমধ্যে করিম বেঞ্চারিফা ইস্ট বেঙ্গলের কোচ হতে প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি আলভিটো ডি’কুনহাকে ফোন করে কোচিং করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু মরক্কোর করিমকে ইস্ট বেঙ্গলের শীর্ষ কর্তাদের একাংশ পছন্দ করেন না। ৩১ মে’র পর ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে থাকছে না কোয়েস। এখন যদি লাল-হলুদের সাবেক কর্তাদের হাতে দল পরিচালনার দায়িত্ব থাকত, তাহলে অনায়াসেই বলে দেওয়া যেত কোনও বাঙালি কোচ ইস্ট বেঙ্গলের দায়িত্ব পেতেন। কিন্তু কোয়েস চাইছে বিদেশি কোচ। ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আগে কোয়েসের ১৪ জন কর্মীকে বলে দেওয়া হয়েছে নতুন কাজ খোঁজার জন্য।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছ’টার বিমানে কলকাতা ছাড়ছেন বিদায়ী কোচ আলেজান্দ্রো। বুধবার সকালে সল্টলেক স্টেডিয়ামের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ইস্ট বেঙ্গলের প্র্যাকটিসে ছিল ছন্নছাড়া পরিস্থিতি। শুক্রবার কোয়েম্বাটোর রওনা হচ্ছেন কোলাডোরা। পরের দিন চেন্নাই সিটির বিরুদ্ধে খেলবে ইস্ট বেঙ্গল। বুধবার লাল-হলুদ ফুটবলারদের অনুশীলন করান নতুন সহকারী কোচ মার্শাল ট্রুলস সেভিলানো। সঙ্গে ছিলেন বাস্তব রায়, ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোডার। উয়েভা ‘বি’ লাইসেন্সধারী কোচ সেভিলানো পরিষ্কার বললেন, ‘আলেজান্দ্রো ইস্তফা দেওয়ার খুব খারাপ লাগছে। আমাকে উনিই জোসেফ ফেরের পরিবর্তে কলকাতায় এনেছেন। দলের ফুটবলারদের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। শরীর সায় দিলেও মন দিচ্ছে না। এই জায়গা থেকে ফুটবলারদের মানসিকভাবে উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ।’
কর্লোস নোডারও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আলেজান্দ্রোর জন্য। তিনি বলেন, ‘আলেজান্দ্রোর সঙ্গে মাঠে ও মাঠের বাইরে সবসময় যোগাযোগ ছিল। এর আগেও আমরা দু’জন একসঙ্গে কাজ করেছি। উনি ইস্তফা দেওয়ায় ভেবেছিলাম ইস্ট বেঙ্গলে থাকব কিনা। কিন্তু আলেজান্দ্রো বলেন, তোমরা ইস্ট বেঙ্গল সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে থেকে যাও। ওরাই দলের আসল শক্তি। নিজেদের দায়িত্ব থেকে সরে যেও না।’ অথচ সমর্থকদের ব্যবহারে ব্যথিত হয়ে ইস্তফার প্রথম সিদ্ধান্ত নেন আলেজান্দ্রো। গোকুলাম ম্যাচে গ্যালারিতে তাঁর অতি প্রিয় কোয়েস ইস্ট বেঙ্গলের সিইও সঞ্জিত সেন আক্রান্ত হওয়ার পরই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর কোয়েস অফিসে। কিন্তু ডার্বির কথা ভেবেই তাঁকে বুঝিয়ে ধরে রাখা হয়। কোয়েস কর্তারা বলছিলেন, ডার্বির পর সাংবাদিক সম্মেলনে আলেজান্দ্রো যেভাবে দম্ভ দেখিয়েছেন তাতে তিনি জিতলেও পদত্যাগ করতেন। পর্যাপ্ত সময় পেয়েও যোগ্য বিদেশি ফুটবলার চয়নে তাঁর ধীরে চলো নীতি মেনে নিতে পারেননি কোয়েস কর্তারা।
চেন্নাই সিটির বিরুদ্ধে স্বদেশি রক্ষণ নিয়ে খেলতে হবে ইস্ট বেঙ্গলকে। কারণ স্প্যানিশ স্টপার মার্তি ক্রেসপি কার্ড সমস্যার জন্য নেই। ফলে স্টপারে খেলবেন আসির আখতারের সঙ্গে মেহতাব সিং।