কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ক্যাপ্টেন কোহলি সাধারণত উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চান না। কিন্তু বাধ্য হয়েই বোলিং আক্রমণে কিছু বদল ঘটাতে হতে পারে তাঁকে। গত ম্যাচে শার্দুল ঠাকুর ৩ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৪ রান। পেয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট। খুব সম্ভবত শার্দুলকে বসিয়ে খেলানো হতে পারে নবদীপ সাইনিকে। তাঁর বলে যেমন গতি রয়েছে, তেমনি আছে বিষাক্ত বাউন্সারে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করার মতো ঝাঁঝ। প্রথম ম্যাচে ভালো বোলিং করতে পারেননি মহম্মদ সামিও। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৩ রান। কোনও উইকেট আসেনি তাঁর ঝুলিতে। তবে নামটা যেহেতু মহম্মদ সামি, তাই একটা ম্যাচের ব্যর্থতা দিয়ে তাঁকে না খেলানোর ঝুঁকি হয়তো নিতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। সামি ম্যাচ উইনার। ফর্মে থাকলে বিপক্ষ দলের ব্যাটিংয়ে একাই ধস নামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। ভারতের আর এক তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরাহ অবশ্য ধীরে ধীরে ফর্ম ফিরে পাচ্ছেন। চোটের কারণে দীর্ঘদিন তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে প্রত্যাশা পূরণে সফল হননি তিনি। যদিও নিউজিল্যান্ড সফরে বুমরাহকে অনেক বেশি আগ্রাসী দেখাচ্ছে। সামি-বুমরাহ জুটি যদি ছন্দ পেয়ে পায়, তাহলে জমাট লাগবে ভারতীয় বোলিংকে। পেস অলরাউন্ডার হিসাবে শিবম দুবের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। স্পিন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও হয়তো প্রথম একাদশে থাকবেন। একমাত্র স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে খেলতে পারেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
ওপেনার রোহিত শর্মা গত ম্যাচে বড় রান পাননি। তবে সেই ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আয়ারের সাফল্যে। দুরন্ত ফর্মে আছেন লোকেশ রাহুল। ব্যাট হাতে শুধু রান করছেন না, উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা অর্জনে তিনি সফল। যার জেরে ঋষভ পন্থের উপর ভরসা কমেছে দলের। বিরাট কোহলি গত ম্যাচে অল্পের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন। সেই আক্ষেপ হয়তো তিনি এই ম্যাচে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। চার নম্বরের সমস্যা অনেকটাই মেটাতে পেরেছেন শ্রেয়াস আয়ার। প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি তিনিই। রবিবারের লড়াইয়ে শ্রেয়াসের উপর বাড়তি নজর থাকবে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে পারেন মণীশ পাণ্ডে। দীর্ঘদিন তিনি ভারতীয় স্কোয়াডে আছেন। তবে নিয়মিত খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারকে ত্বরান্বিত করতে হলে মণীশকে এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে।
ঘরের মাঠে ২০৩ রান তুলেও জিততে না পারায় বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন কিউয়িরা। ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। টি-২০ সিরিজ হারলে তাঁকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জোর জল্পনা চলছে। এই অবস্থায় সিরিজে সমতা ফেরানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে। তবে কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা দারুণ ফর্মে আছেন। বিশেষ করে টি-২০ স্পেশালিস্ট কলিন মুনরো, মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ও রস টেলর যদি উইকেটে সেট হয়ে যান, তাহলে ভারতীয় বোলারদের কপালে দুঃখ রয়েছে। তুলনায় নিউজিল্যান্ডের বোলিং বেশ দুর্বল। পেস আক্রমণে টিম সাউদি ছাড়া অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট। দুই স্পিনার ইশ সোধি ও মিচেল স্যান্টনারও প্রথম ম্যাচে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। ভারতের মতোই নিউজিল্যান্ডের বোলিংও নানা সমস্যা জর্জরিত।
ম্যাচ শুরু ভারতীয় সময় দুপুর ১২-২০ মিনিটে।