অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
(এমবাপে, নেইমার)
প্যারিস, ৫ ডিসেম্বর: মরশুমে প্রথমবার প্রথম একাদশে দেখা গেল কিলিয়ান এমবাপে এবং নেইমারকে। এই দুই তারকাকে একসঙ্গে খেলানোর জন্য রিজার্ভ বেঞ্চে থাকতে হয়েছে এডিনসন কাভানি ও মাওরো ইকার্ডিকে। বুধবার ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ফরাসি লিগের ম্যাচে ন্যান্টেসের বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিয়ে লিগ শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল প্যারি সাঁজাঁ। স্কোরশিটে নাম উঠেছে এমবাপে ও নেইমারেরই। এই প্রসঙ্গে কোচ টমাস টুচেল বলেছেন, ‘ডিসেম্বর মাসে এরা দু’জন প্রথম একসঙ্গে খেলল। তাই বোঝাপড়ার সমস্যা কিছুটা তো থাকবেই। মেসি ও সুয়ারেজ যদি এই মাসে প্রথমবার জুটি বাঁধত তাহলেও একই সমস্যায় পড়তে হত বার্সা কোচকে। তবে নেইমার-এমবাপে, দু’জনেই গোল পেয়েছে। ভবিষ্যতে এই জুটি আরও বিপজ্জনক হবে।’ ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে নেইমাররা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সেই একটি ম্যাচ বেশি খেলে ৩১ পয়েন্ট পেয়েছে। মিক্সড জোনে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এমবাপে বলেন, ‘ফরাসি লিগের পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য। এবার এই দু’টি টুর্নামেন্টই চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
ঘরের মাঠে শুরু থেকে গঠনমূলক ফুটবল মেলে ধরার চেষ্টা করলেও প্রথমার্ধে লিড পায়নি পিএসজি। এই পর্বে রক্ষণ সংগঠন জমাট রেখে প্রতি-আক্রমণে বিপক্ষকে পরখ করাই ছিল ন্যান্টেসের লক্ষ্য। বিরতির অব্যবহিত আগে নেইমারের গোল ড্র্যাক্সলারের ফাউলের কারণে বাতিল হয়। সংযোজিত সময়ে ন্যান্টেসের গোলরক্ষক আলবান লাফোঁ দক্ষতার শীর্ষে উঠে রুখে দেন নেইমারের প্রয়াস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজি’কে এগিয়ে দেন এমবাপে। ডানদিক থেকে আক্রমণটি তৈরি করেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাঁর বাড়ানো পাস বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাকহিলের মাধ্যমে জালে জড়ান ফরাসি তারকাটি (১-০)। এরপর ন্যান্টেসের তারকা ফুটবলার বাম্বার শট তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান পিএসজি গোলরক্ষক কেলর নাভাস। এই পর্বে খেলা যত গড়িয়েছে ততই প্রাধান্য বিস্তার করেছে টুচেল-ব্রিগেড। ৭৮ মিনিটে ইকার্ডি এবং সারাবিয়াকে পরিবর্ত হিসেবে নামান পিএসজি কোচ। এর মিনিট চারেক পরেই পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান নেইমার (২-০)। শেষপর্বে তিনি আরও একটি গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন।