গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন নির্ধারিত সময় দুপুর ১২টার পরিবর্তে প্রায় এক ঘণ্টা পর সিউড়িতে হেলিকপ্টারে আসেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা জনপ্রিয় সুপারস্টার দেব। তাঁর আসার অনেক আগেই কলোনি মাঠ থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে মানুষজন দাঁড়িয়ে থাকেন। কমবয়সি, কলেজ পড়ুয়াদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের মধ্যে কেউ গোলাপ ফুল হাতে, কেউ দেবের ছবি এঁকে, কেউ আবার বেলুন হাতে প্রিয় অভিনেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। হুডখোলা গাড়িতে রোড শো শুরু করেন দেব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। রাস্তার দু’পাশ থেকে ফুল ছুড়ে দেবকে অভ্যর্থনা জানান উপস্থিত মানুষজন। তখন কোনও কমবয়সি যুবতীর চোখে জল, কেউ আনন্দে আত্মহারা। যেন তাঁদের দিনটা স্বার্থক। চোখের সামনে তাঁদের স্বপ্নের নায়ক। এসপি মোড়, আরটি স্কুল মোড় থেকে মসজিদ মোড় হয়ে চৌরাস্তায় উঠে দেবের র্যালি শেষ হয়। যদিও সেই র্যালি বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলোনি মাঠ পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা, মাদ্রাসা রোডে প্রচুর মানুষ দেবের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সময়ের অভাবে সেদিকে র্যালি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বলে দাবি তৃণমূলের। শতাব্দীও তাঁর খয়রাশোলের কর্মসূচির জন্য আগেই রওনা দেন। বিধায়ক বিকাশবাবু বলেন, এদিন শহরের মানুষের ভিড় সবাই চোখে দেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, শতাব্দী রায়ের কাটআউট হাতে নিয়ে মানুষ দেবকে দেখতে এসেছেন। নতুন ভোটাররা সবথেকে বেশি ছিলেন। দেব সুপারস্টার তো বটেই, সেইসঙ্গে যথেষ্ট মার্জিত রাজনীতিবিদ। ওঁর আরও দু’টি জায়গায় রোড শো রয়েছে। ফলে সময়টা একটা বড় ফ্যাক্টর। সিউড়ি শহরের মানুষ যে আমাদের সঙ্গে আছেন, তার বড় প্রমাণ এদিন মিলেছে।
বিগত কয়েকটি ভোটে সিউড়ি শহরে বিজেপি লিড পেয়ে এসেছে। এছাড়া শহরের তৃণমূল নেতৃত্বের ফাটলও এখানে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। কদিন আগেই শহরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জনসভা করে গিয়েছেন। ফলে, সিউড়ি নিয়ে বিজেপির মরিয়া। এই অবস্থায় দেবের আগমন অঙ্কের হিসেব অনেকটাই বদলে দিল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যেভাবে এদিন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ধরা দিয়েছে, তাতে পিছিয়ে থাকা ভোট কমিয়ে লিড আসবে বলে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতৃত্ব। সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেসব মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে ভুল করেছেন, তাঁরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। ভোটবাক্সে এবার জোড়াফুলই ফুটবে। যদিও বিজেপির দাবি, শহরের মানুষ ঠিক করেই রেখেছেন, পদ্মফুলে ভোট দেবেন।