গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এ নিয়ে মেড়তলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবীর ঘোষ বলেন, ওই গ্রামে অল্প ভোটার। তবে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা চলছে। আশাকরি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তবে ওই গ্রাম ভাঙন প্রবণ এলাকা। আগে ভাঙন রোধে কাজও হয়েছে।
পূর্বস্থলী -২ ব্লকের মেড়তলা পঞ্চায়েতের দেবনগর গ্রাম পূর্ব বর্ধমান জেলার মূল ভূখণ্ডের থেকে বিচ্ছিন্ন। আগে এই গ্রামে বহু মানুষের বাস ছিল। কিন্তু এখন জনসংখ্যা অর্ধেক। তার মূল কারণ, ভাগীরথীর ভাঙনে গ্রামটা নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। গ্রামের মানুষ মূলত কৃষিজীবী। কিন্তু সেই কৃষিজমিও গিলে খেয়েছে ভাগীরথী। যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে মেড়তলা অঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামে ভাঙন রোধে কাজ হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষের যাতায়াতের মূল ভরসা সেই নৌকোই। আর ফেরিঘাটে আলপথ ধরেই যেতে হয়। বাদিন্দারা জানান, দেবনগর গ্রাম থেকে পূর্বস্থলীর কাষ্ঠশালী ঘাট যাওয়ার শংকরপুর থেকে প্রায় ১ কিমি মাটির রাস্তা পাকা করতে হবে। আর দেবনগরের মেড়তলা ঘাট যেতে দেড় কিমি রাস্তা আলপথ ধরে যেতে হয়। ওই রাস্তা ধরে গিয়ে নদীয়া জেলার রাজাপুর বাজার যেতে হয় বাসিন্দাদের। বর্ষাকালে ওই মাটির রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। গ্রামে একটি মাত্র প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। সেখানে মাত্র ১০০ মিটার রাস্তা আছে। তবে গ্রাম থেকে ফেরিঘাট যাওয়ার দু’টি রাস্তা না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।
দেবনগর গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ভাগীরথীর পাড়জুড়ে মাটি কাটছে মাফিয়ারা। অথচ সেই রাস্তা ধরেই গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে নৌকো করেই মেড়তলা যেতে হয় বাসিন্দাদের। তাই গ্রাম থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত যেতে বর্ষাকালে চরম বেগ পেতে হয় বাসিন্দাদের। গ্রামের বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, নেতারা ভোটের আগে এসে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। ভোট ফুরিয়ে গেলে আর কারও দেখা মেলে না। গ্রামের মানুষদের সেই কষ্ট করেই যাতায়াত করতে হয়। গ্রামের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। ভাগীরথী নদী তিন বার গতিপথ বদলেছে। গ্রামের আরও কাছে চলে এসেছে ভাগীরথী নদী।