গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ভিড়িঙ্গি কালীমন্দিরের সামনে মায়ের প্রসাদী ফুল ও প্রসাদ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মন্দিরের প্রধান সেবাইত সাধন রায়। তাঁর সঙ্গে মন্দিরের বহু ভক্তও ছিলেন। জনসমুদ্রকে পিছনে রেখে এগিয়ে আসছেন মমতা। তাঁকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরে এলেই ভিড়িঙ্গি কালীবাড়িতে মায়ের কাছে পুজো ও প্রণামী দিয়ে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। এবারের সভায় নজর কাড়ল একই পোশাকের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের রাস্তার দু’পাশে উপস্থিতি। বেনাচিতি বাজার দুর্গাপুরের মূল মার্কেট। এখানে বিভিন্ন দোকান, শপিং মল, শোরুম থাকার পাশাপাশি বহু রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। এক কর্মী বলেন, আগে প্রতি বছর নিয়ম করে দু’বার আইবিপিএস পরীক্ষা হতো। সেখানে সফল হলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়া যেত। এখন আর সেই সুযোগ কোথায়? বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্কে চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া যুবক- যুবতীরা হয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক না হলে কোনও সংস্থার অ্যাকাউন্ট বিভাগে কাজ করছে।
একই দশা বিভিন্ন ইন্সুরেন্স সেক্টরেও। তাঁদের একটা বড় অংশ এদিন প্রকাশ্যেই রাস্তায় বেরিয়ে মমতাকে সমর্থন জানালেন। এদিনের জনজোয়ারে বিভিন্ন গাড়ি-বাইকের শোরুম, শপিং মলের কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীরা মমতাকে সামনে থেকে দেখার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়ান। অনেকে তাঁর পদযাত্রা ক্যামেরাবন্দি করলেন। কেউ আবার সেলফি নেওয়ার চেষ্টা করলেন। ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন। কেউ আবার তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। পুষ্পস্তবকও দেন অনেকে। একের পর এক উত্তরীয় আসে। তা প্রার্থী কীর্তি আজাদ, কখনও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পরিয়ে দেন। তারই মাঝে নিজের মোবাইলে নজর রাখছিলেন। পদযাত্রা থেকে একজনকে ফোন করতেও দেখা যায়। অনুমান, পদযাত্রা থেকেই সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ বাতিলের স্থগিতাদেশের খবরটি পান তৃণমূল সুপ্রিমো।