গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপবাবু জেনেবুঝেই এই কৌশল নিয়েছেন। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির সংগঠনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর নেতারা পাশে না থাকায় অনেক সক্রিয় কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। বহু কর্মী প্রচারে নেমে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না। তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করতেই তিনি হুঙ্কার ছাড়ছেন। এদিন ভাতারের সভা থেকে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা সবার কাছ থেকে তোলা তুলছে। সব্জি ব্যবসায়ীদেরও ছাড়ছে না। পুকুর ভরাট করছে। গুন্ডাদের জানা উচিত আমি পাঁচ বছর থাকব। মেদিনীপুরে অনেক রেল, মাটি মাফিয়াদের ঠান্ডা করেছি। ভোটের পর তৃণমূলের অনেক বড়বড় নেতাদের জেলে যেতে হবে। সব হিসেব বুঝে নেব। দেখব কে কত মায়ের দুধ খেয়েছে। তিনি তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেন, অজয়-দামোদর থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বালি লুট করছে। কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তৃণমূলও বিজেপিকে পাল্টা তোপ দাগতে সময় নেননি। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, উনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। ভোটের ফল কী হতে চলেছে তা তিনি জেনে গিয়েছেন। সেই কারণেই এসব উল্টোপাল্টা বলছেন। মানুষ জবাব দেবে। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ দু’দিন আগে বলেন, উনি পাগলের মতো ব্যবহার করছেন। মুখে যা আসছে বলে চলছেন। এসব ভদ্র সমাজে শোভা পায় না। ইভিএমেই জবাব দেওয়া হবে।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় সংগঠন দুর্বল হওয়ায় দিলীপবাবু তাঁর টিম ময়দানে নামিয়েছেন। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তাঁরা কাজ করছেন। কোথায় কী কর্মসূচি হবে সেটাও তাঁরাই ঠিক করছেন। কিন্তু ভোটের দিন তাঁর টিম বুথে থাকবে না। জেলার নেতা এবং কর্মীদের উপরেই ভরসা করতে হবে। সেই কারণেই তিনি তাঁদের মনোবল চাঙ্গা করতে প্রতিদিনই হুঙ্কার দিয়ে চলছেন বলে অনেকেই মনে করছেন। ভোট যত এগিয়ে আসছে তাঁর হুঙ্কার তত বেড়ে চলেছে।