গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন খুব সকাল সকাল ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রামের অভয় মণ্ডল, বুলবুলি মণ্ডল, কমল বিশ্বাসরা। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে তাঁরা বলছিলেন, ‘এখনও গ্রামের সবাইকে ভোটের পরিচয়পত্র বিএসএফের কাছে জমা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ওরা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো গেট বন্ধ করে। আমাদের প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়। কাঁটাতারের যন্ত্রণা থেকে আদৌ মুক্তি পাব কি না জানি না। তবে, সমাধানের আশাতেই আমরা প্রতিটি ভোটেই অংশ নিই।’
চরমেঘনার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সমর বিশ্বাস বলেন, ‘২০১৬ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের সময় এই গ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখনই গ্রামের মানুষের দাবি ছিল কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে গ্রামকে ঢোকানো হোক। তার পরে প্রায় আট বছর কেটে গেলেও সেই সমস্যা রয়ে গিয়েছে।’ গ্রামের বিজেপি কর্মী অমিত মাহাতো জানান, কখনো কখনো নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাঁটাতারের বেড়ার গেট বন্ধ করে দেয় বিএসএফ। গ্রামে ঢুকতে না পারায় খুব সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। এছাড়াও পাশের মাথাভাঙা নদীতে রিভার পাম্প নির্মিত হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত সমস্যার কারণে সেই পাম্পে মোটর বসানো হয়নি। ফলে এলাকার চাষিরা কয়েক হাজার বিঘা জমিতে জল সেচের সুবিধা পাচ্ছেন না। সীমান্তের এই আন্তর্জাতিক সমস্যা তো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বা বিধায়ক করবেন না। দিল্লিতে দরবার করে এলাকার সাংসদকেই এটা করতে হবে। সেই কারণে অন্যান্য নির্বাচনের থেকে লোকসভার নির্বাচন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামের মানুষের কাছে।
চরমেঘনার বাসিন্দা ও সিপিএমের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, প্রায় আড়াইশো পরিবারই এই গ্রামে বাস করেন। বছর দশেক আগেও গ্রামে ছিল না কিছুই। না রাস্তা, না বিদ্যুৎ। ২০১১ সালে গ্রামে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে। বছর সাতেক আগে গ্রামের একমাত্র রাস্তা তৈরি হলেও সংস্কারের অভাবে এখন বেহাল অবস্থা। কিন্তু সীমান্তের গেট পেরোনোর সমস্যা রয়েই গিয়েছে। সমস্যার সমাধান না হলে এর পর গ্রামের সব মানুষ ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন।