গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
আনুলিয়া, পায়রাডাঙা, নপাড়া মুসুন্ডা, তারাপুর, হবিবপুর, দেবগ্রাম, আইশমালি সহ মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে। আবার এই কেন্দ্রেরই অন্তর্গত কুপার্স পুরসভা এলাকার ভোটব্যাঙ্কের ওপরেও নির্ভর করছে লিড কারা পাবে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রায় ১৬ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মুকুটমণি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৪টির মধ্যে মাত্র তিনটি বিরোধীদের দখলে যায়। তাই এবার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নেওয়া যেমন তৃণমূলের অন্যতম লক্ষ্য, পাশাপাশি এই কেন্দ্রে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখাও পদ্ম শিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুলিয়া, রামনগর-২, দেবগ্রাম, মাঝেরগ্রামের মত পঞ্চায়েতগুলোতে সেভাবে লিড না পাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। তাই বাদবাকি দশটি পঞ্চায়েত এবং বিশেষ করে কুপার্স দিয়েই ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করতে প্রচার ও জনসংযোগে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই কেন্দ্রে বসবাসকারী বড় সংখ্যার মতুয়া ভোটারদের দিকেও নজর রেখেছে ঘাসফুল শিবির। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গত তিন বছর মুকুটমণি রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলে এসেছেন। তিনি এখন আমাদের প্রার্থী। রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। একজন চিকিৎসক হিসেবে করোনার সময় নিজের বিধানসভার বিভিন্ন পঞ্চায়েতগুলোতে তিনি ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাতে মানুষ নিঃসন্দেহে তাঁর পাশেই থাকবেন।
এতদিন বিজেপির বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলে এলেও এখন রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার জনসমর্থন যে তাঁর দিকে তাকিয়েই তৃণমূলমুখী হবে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মুকুটমণি। তিনি বলেন, বিধায়ক হিসেবে আমি আরও কাজ করতে পারতাম সেখানে। কিন্তু দিনের পর দিন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের একনায়কতন্ত্রের কারণে উন্নয়নের কাজ আটকে ছিল। সাধারণ মানুষ সেটা জানেন। আমি জিতলে সেই উন্নয়ন এবার আরও ত্বরান্বিত হবে।
যদিও পাল্টা নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার ভোটাররা বিশ্বাস করে মুকুটমণিকে জিতিয়েছিলেন। মুকুটমণি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এর জবাব এবারের লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে পেতে হবে তাঁকে।