গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, করিমপুর-২ ব্লকে যে কোনও ভোটে গণ্ডগোল বাঁধাধরা। ২০১৯ সালের বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছিল। বাম আমলে ভোট লুট করার অভিযোগ উঠত। সেই দিক দিয়ে এবারের ভোট শান্তিপূর্ণ। কোনও রকম ঝামেলা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়ায় খুশি সমস্ত রাজনৈতিক দল। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ দিন পর এই এলাকায় ভোটে কোনও অশান্তি হয়নি। এলাকার মানুষও খুশি। এবার আগাম সতর্ক ছিল পুলিস প্রশাসন। অশান্তির খবর আসা মাত্র পুলিস দ্রুততার সঙ্গে সেই জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
সিপিএমের করিমপুর-২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক লিয়াকত হোসেন বলেন, শুভরাজপুরে আমাদের কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিস প্রশাসনের তৎপরতায় কিছুক্ষণের মধ্যে তা মিটে যায়। তৃণমূল কিছু জায়গায় বুথ জ্যাম করতে চেয়েছিল। আমাদের কর্মীদের জন্য তা পারেনি। তবে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের করিমপুর-২ ব্লকের সভাপতি সৌমেন বিশ্বাস বলেন, এবারের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এইজন্য পুলিস প্রশাসনকে ধন্যবাদ। অশান্তি করার জন্য আমাদের কর্মীদের দু’-এক জায়গায় প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিল সিপিএম, বিজেপি কিন্তু আমাদের কর্মীরা সেই প্ররোচনায় পা দেয়নি। বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুরজিত জোয়ারদার বলেন, লোকসভা ভোট শান্তিতে হয়েছে। বিশেষ করে করিমপুর-২ ব্লকে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিয়েছেন। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ লোকসভার অন্তর্গত নদীয়ার করিমপুর বিধানসভার ভোটে সকাল থেকে কোনও বুথে লম্বা লাইন চোখে পড়েনি। বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র ফাঁকা ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভোটকেন্দ্রে লাইন দেখা যায়। বিধানসভা এলাকার ২৬১টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ভোট দিতে পেরে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। অনেক বুথে অসুস্থ বা অক্ষম বৃদ্ধদের হাত ধরে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। তাদের উপস্থিতিতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছে বলে জানায় প্রশাসন।