গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর দুই লোকসভা কেন্দ্রের মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ ১১ হাজার। মোট ভোটার প্রায় ৩৬ লক্ষ ৮৮ হাজার। পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি এই মহিলা ভোট তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। বিশেষ করে সকাল থেকে অধিকাংশ বুথে মহিলাদের আনন্দের সঙ্গে ভোটদানের ছবি অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে দুই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীদের। এই মহিলাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা রয়েছেন। পাশাপাশি বিধবা ভাতা, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী-২ এর মতো প্রকল্পগুলি তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ককে মজবুত করেছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের।
রাধারঘাট-১ অঞ্চলের মাঝেরপাড়া কুমারিশ চন্দ্র হাইস্কুলের কিছুটা দূরে টানা রোদের মধ্যে ছাতা মাথায় বসেছিলেন তিন মহিলা। সকাল থেকেই তাঁরা সকলে তৃণমূলের ক্যাম্প সামলাচ্ছেন। ওই ক্যাম্পের মিশরী দাস ও ফরিদা বিবিরা বলেন, আমাদের এখানে এক হাজার ভোটার আছেন। তার মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। এই বুথের ৩০০ জন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। সেই ভোট ও তাঁদের পরিবারের ভোট আমাদের দিকেই আসবে।
জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, আমি সকাল থেকে জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নবগ্রাম হয়ে বিভিন্ন বিধানসভায় ঘুরেছি। সার্বিকভাবে বিভিন্ন বুথে যা খবর পেয়েছি তাতে, আমাদের দিকেই মানুষ রায় দিচ্ছেন। মহিলা ভোটারদের নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছি। সমস্ত নেতা-কর্মীদের আমি এই জেলার সাংগঠনিক সভাপতি হিসেবে জানিয়েছিলাম, যাতে শান্তি বজায় থাকে। উৎসবের মেজাজে সকলে যাতে ভোট দিতে পারে, সেদিকে নজর রাখতে বলেছিলাম। সেটাই হয়েছে। ভোটদানে মানুষের মধ্যে আমরা ভালো উৎসাহ দেখতে পেয়েছি।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, আমি সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি। মানুষ খুব ভালোভাবে ভোট দিয়েছেন। প্রত্যেকটি বুথে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোট পার্সেন্টেজের হার দেখে মনে হচ্ছে মহিলাদের বিপুল সংখ্যক ভোট পোল হয়েছে। এই ভোট স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে যাবে।
সাগরপাড়ার সুপর্ণা মিস্ত্রি এবং নবগ্রামের রিজিয়া বিবি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে, সংবিধান বাঁচানোর স্বার্থে জীবনের প্রথম ভোট দিলাম। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এরাজ্যে ছিলাম না। এবার ভোট দিলাম। স্বাভাবিকভাবে খুব ভালো লাগছে।