গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখতে জানে না। এবারের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতারা ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু তা বাস্তবে একটাও রূপায়িত হবে না। তাই এবারের লোকসভা ভোটে আমাদের জয় নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, চলতি লোকসভা ভোটে বিজেপির অন্যতম ইস্যু কর্মসংস্থান। জঙ্গলমহলে একটিও শিল্প কারখানা হয়নি বলেই দাবি করছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম। তিনি প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন। কিন্তু জয়ী হওয়ার পর আর তিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি। কারখানা তৈরি না হওয়ায় জেলায় কর্মসংস্থানও হয়নি। যার ফলস্বরূপ পরবর্তীকালে আর একটিও নির্বাচনে বিজেপি জিততে পারেনি। তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটিও পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করতে পারেনি। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম নিজেও দলত্যাগ করেছেন। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ফের বিজেপি নেতৃত্ব ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারায় তাঁরা কিছুটা ব্যাকফুটে।
এক তৃণমূল নেতা বলেন, বিজেপি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার একটিও কারখানা তৈরি করতে পারেনি। প্রতিশ্রুতি মতন বিমান কারখানা তৈরি হলে কম করে তিন হাজারের বেশি মানুষ কাজ পেতেন। এলাকার চালচিত্র একেবারে বদলে যেত। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই হয়নি।
ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্বপন মাহাত বলেন, কারখানা হলে কর্মসংস্থান হবে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে বেকার হয়ে ঘরে বসে রয়েছে। ভোট আসছে প্রতিশ্রুতি হচ্ছে। কিন্তু মানুষের চাকরি হচ্ছে না।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, তৃণমূল একটাও কারখানা করতে পারেনি। মানুষ খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছে। স্কুলের নিয়োগ নিয়ে কী হয়েছে, তা সকলের জানা। এবারের নির্বাচনে তৃণমূল যোগ্য জবাব পাবে।