বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমায় মোট বিধানসভা আসন তিনটি। ঘাটাল, দাসপুর এবং চন্দ্রকোণা। তিনটি বিধানসভার মধ্যে ঘাটালে রয়েছে ৩২০টি বুথ, দাসপুর ৩৩১টি এবং চন্দ্রকোণায় ৩২৮টি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সূত্রে জানা গিয়েছে, দাসপুর এবং ঘাটাল বিধানসভা এলাকায় প্রত্যেকটি বুথ থেকে ন্যূনতম ৩০ জন থেকে শুরু করে ১০০-১৫০ জন পর্যন্ত ভোটার এলাকার বাইরে থাকেন। তাঁদের বেশিরভাগই সোনা, হীরের গয়না এবং জরির পোশাক তৈরির পেশায় নিযুক্ত। চন্দ্রকোণায় অবশ্য এই সংখ্যাটা অনেক কম।
কর্মসূত্রে পুরুষ ভোটাররা রাজ্যের বাইরে থাকায় ফলে অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে থাকছেন। কিন্তু তাঁরা ঘাটাল মহকুমারই ভোটার। এই ধরনের ভোটারের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, খুব সহজেই তাঁরা নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে পারে।
মুম্বইয়ের মাটিগলিতে থাকেন দাসপুর বিধানসভার চাঁইপাটের বাসিন্দা স্বর্ণশিল্পী রাজু সামন্ত, দিল্লির কোরালবাগে থাকেন দাসপুর গঞ্জের বাসিন্দা স্বর্ণশিল্পী মলয় দাস। তাঁরা বলেন, ভোটের বাদ্যি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের গ্রামের নেতারা খোঁজখবর বেশি করে নিতে শুরু করেছেন। প্রত্যেক দিন গুড মর্নিং, গুড নাইট মেসেজ, কুশল বিনিময় সবই করছেন। ভোটের অন্তত এক সপ্তাহ আগে বাড়ি আসার জন্য বার বার অনুরোধ করছেন। সেজন্য ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে কিনা তা জানতেও প্রত্যেক দিন খোঁজ নিচ্ছেন। ভিন রাজ্যে থাকা শিল্পীরা বলেন, কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ট্রেনের একপিঠের ভাড়া দিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
দাসপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৌমিত্র সিংহরায় বলেন, আমরা বাইরে থাকা ভোটাদের সঙ্গে সারা বছরই নানা ভাবে যোগাযোগ রাখি। তাঁদের সমস্যার কথা শুনি। তাই ভোটের সময়ে তাঁরা যাতে গ্রামে ফিরে ভোটদানে অংশগ্রহণ করেন তারজন্য বলা হচ্ছে। তাঁরা দলকে ভালোবেসেই গ্রামে আসবেন এবং ভোটও দেবেন। তাই তাঁদের কোনও অফার দেওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বিজেপি নেতা কালীপদ সেনগুপ্তও জানিয়েছেন, তাঁরাও ভিন রাজ্যে থাকা ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কাউকে কোনও সুবিধে দেওয়ার কথা দিয়ে ডাকা হচ্ছে না। তবে অধিকাংশ স্বর্ণশিল্পীই ভোটের সময় আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁরা বলেন, কাকে ভোট দেব সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের দাসপুর ঘাটালে ভোটের দিনে কোনও গণ্ডগোল হয় না। তাই ভোটটা আমাদের কাছে উৎসবের মতো। অন্যান্য বারের মতো এবারেও তাঁদের অনেকেই সপরিবারে ভোট দিতে আসবেন।