বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ পেতে শুরু করেছেন উপভোক্তারা। মুর্শিদাবাদ জেলার ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৭৯ জন মহিলার অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকছে অতিরিক্ত এই অর্থ। এই নির্বাচনের আগে মহিলাদের খুশি করেছে তৃণমূলের সরকার। ফলে ভোটের হাওয়ায় জেলাজুড়ে অক্সিজেন মিলছে তৃণমূলের। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার অনেক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। যার সুফল ভোট ব্যাঙ্কে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব প্রচারে নেমে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্পের কথা গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান ও জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান নিজেও মহিলাদের কাছে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা নিয়ে প্রচার সেরেছেন। মানুষের অভিব্যক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে যে, মমতার এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রামের মহিলাদের কাছে কতটা কার্যকরী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাধারণ উপভোক্তার সংখ্যা মোট ১৫ লক্ষ ১০ হাজার ৭০৫ জন। এসসি উপভোক্তার সংখ্যা এক লক্ষ বাইশ হাজারের বেশি। এছাড়া এসটি উপভোক্তা আছেন প্রায় আট হাজার। এপ্রিল থেকে এসসি ও এসটিরা ১০০০ টাকার বদলে ১২০০ টাকা অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন। সাধারণ মহিলারা ৫০০ টাকার বদলে এক হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। এর ফলে ভোটব্যাঙ্ক আরও মজবুত হবে বলেই দাবি তৃণমূলের।
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি আসিফ আহমেদ বলেন, রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প ও উন্নয়নের কথা আমরা প্রচারে সবথেকে জোর দিয়ে বলেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছেছে। পাড়ায় গিয়ে চায়ের আড্ডায় আমারা প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় জনসংযোগ করছি। সেখানে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁরা অপেক্ষায় আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানানোর জন্য। মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে অর্ধেক সংখ্যক মহিলা ভোটার। তাঁদের ভোট তৃণমূলের দিকে আসবে বলেই আমরা আশাবাদী।
যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে মানুষ খেপে আছে। তাই ৫০০ বা ১০০০ টাকার এই ভাতা ভোটে প্রভাব ফেলবে না। মানুষ মোদিজির বিকাশ চাইছে। তাই ভোট বিজেপি প্রার্থীরাই পাবে।