বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
১৩মে চতুর্থ দফায় বীরভূম কেন্দ্রে ভোট। নানা অঙ্ক কষে চুটিয়ে প্রচার করছেন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। ভোটের ফল কী হতে পারে, কোথায় কোন প্রার্থী কতটা এগিয়ে থাকবেন, তা নিয়ে চায়ের দোকান থেকে ক্লাবগুলিতে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ফলাফল নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে জুয়ার বাজারেও। সূত্র মারফত পাওয়া খবর, প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে ৫০০ বা ১০০০ টাকা নয়, জুয়ার দর পৌঁছেছে লক্ষাধিক টাকায়। জুয়ার বাজারে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, বিজেপির দেবতনু ভট্টাচার্যর সঙ্গে। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদই এই দুই প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারক বলেও মত জুয়াড়িদের। সকাল থেকেই ভোটের অঙ্ক কষা চলছে জোরদার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে জুয়ায় বাজি ধরা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে মার্জিন বাড়িয়ে ৮৯ হাজার ৭১১ ভোটে এগিয়ে ছিলেন শতাব্দী। সেবার বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডল এই কেন্দ্র থেকে ৩৯.৩ শতাংশ ভোট পান। সাতটি বিধানসভার মধ্যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে যায় বিজেপি। শতাব্দীর হ্যাট্রিকের পথ মসৃণ করে মুরারই, হাসন ও নলহাটি বিধানসভা। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টি দখল করে তৃণমূল। অনেকের মতে, হাসন বিধানসভায় মিল্টনের বাড়ি এবং সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক। গত পঞ্চায়েত ভোটে ওই তিন বিধানসভায় একাধিক আসন তারা দখল করে। এবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ে শাসক দল গতবারের লিড কতটা ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়ে সকলে নিশ্চিত নয়। সিপিএম নেতা সঞ্জীব বর্মন বলেন, পঞ্চায়েতে মুরারই, হাসন ও নলহাটিতে বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোটের হার ৩০ শতাংশের উপরে। এবার সেই ভোটের হার আরও বাড়বে। তা প্রচারেই ইঙ্গিত মিলছে।
বিজেপি নেতা শান্তনু মণ্ডল বলেন, গতবার যে চারটি বিধানসভায় আমরা এগিয়েছিলাম, এবার সেখানে জয়ের ব্যবধান বাড়বে। বাকি হাসনে আমরা লিড না থাকলেও সমান সমান হব। মুরারই ও নলহাটিতে পিছিয়ে থাকার ব্যবধান কমবে। সেই হিসেবে অল্প মার্জিন হলেও এই লোকসভা কেন্দ্রে আমরা জয়ী হব।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোটে খুব একটা থাবা বসাতে পারবেন না জোট প্রার্থী। পঞ্চায়েতে যে কটি আসনে তাঁরা জিতেছিল সেখানে টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ভোট দিয়েছিল। সেই জায়গা অনেকটাই মেরামতে সফল হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গতবারের থেকেও বেশি মার্জিনে এবারও জিতবেন শতাব্দী রায়।