বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন দুপুর থেকেই সাঁইথিয়ার মেলার মাঠে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় জমতে থাকে। কর্মীরা জনসভার মাঠ ভরিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই প্রথম সাঁইথিয়ায় এলেন তিনি। মঞ্চে প্রার্থী শতাব্দী ছাড়াও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, স্থানীয় বিধায়ক নীলাবতি সাহা সহ অন্যান্য বিধায়ক, জেলাস্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে মা নন্দীকেশ্বরীর প্রতিকৃতি উপহার দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, জেলার সতীপীঠ থেকে শুরু করে তারাপীঠ, জয়দেব, পাথরচাপুড়ি মাজার, সবের উন্নয়ন করেছে রাজ্য সরকার। বীরভূম জেলার ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। এখানে দেউচা পাচামি হবে। ফ্লুরাইড প্রভাবিত সিউড়ি-১, সিউড়ি-২, সাঁইথিয়ায় ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জল প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাণ্ডিরবন জল প্রকল্প হয়েছে, তারাপীঠে ৩৫ কোটি টাকা দিয়ে জলের প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে।
বোলপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। পাথরচাপুড়িতে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি কোন কোন নদীর ব্রিজ হয়েছে তা উল্লেখ করেন। যেমন, ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানাগড়-ইলামবাজার সেতু, ১৬৫ কোটি টাকার অজয় সেতু সহ একাধিক সেতুর কথা তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও আটটি নতুন থানা তৈরি, ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিউড়ি সাউথ বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ, বোলপুরে বাস টার্মিনাস সংস্কার, সিউড়ির তিলপাড়ায় বাসস্ট্যান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন। সেই তালিকা এতটাই লম্বা হতে থাকে যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই থেমে গিয়ে বলে দেন, যা কাজ করেছি তার হিসেব করতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বলতে লেগে যাবে। ঠিক একই কথা শোনা যায় প্রার্থী শতাব্দীর গলাতেও। তিনি বলেন, আমরা এতগুলো প্রকল্প মানুষকে দিচ্ছি। আর যা করেছি তাই বলছি। আমরা কাজ করেছি, সেই কারণেই ভোট চাইছি। আমি তো শ্বেতপত্র আকারে বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে জনসমক্ষে রেখে দিয়েছি কী কী কাজ করেছি। আলো, জল, ব্রিজ সবকিছুই হয়েছে। যা আমাদের ক্ষমতায় সম্ভব তা করেছি। তাই বীরভূমের মানুষকে বলব বিজেপির ভাঁওতায় বিশ্বাস না করে ঘাসফুলের বোতাম টিমে আরও একবার ওদের জবাব দিন।
এদিন দেখা যায় বক্তব্য শেষে মুখ্যমন্ত্রী ও শতাব্দী একসঙ্গে আদিবাসী মানুষদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকেন। দর্শকাসনে তিনজন খুদের হাতে ফুটবল থাকায় মুখ্যমন্ত্রী তাদের সভামঞ্চের সামনে ডেকে নেন। মঞ্চ থেকে সেই বল ছুড়ে ধরতে বলেন। তাতেই জনসভা থেকে আওয়াজ ওঠে খেলা হবে। তবে এই বয়সেও মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ঝাঁপ করার ক্ষমতা দেখে আপ্লুত প্রত্যেকে।