বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও শিল্পাঞ্চলে বন্ধ কারখানা ভোটের বড় ইস্যু ছিল। সেই ক্ষতে মলম লাগাতেই তৎকালীন বিজেপির আসানসোলের এমপি রূপনারায়ণপুরে হিন্দুস্থান কেবলস কারখানা খোলার ঘোষণা করে আবির খেলেন। আবীর খেলে ভোট বৈতরণী পার করলেও কারখানা চালু হয়নি। আজও রূপনারায়ণপুরজুড়ে বিজেপির সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের যন্ত্রণা সাধারণ মানুষ ভোগ করছে। অনেকটা একই স্টাইলে দুর্গাপুরের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সার কারখানা খোলা নিয়ে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু করেছে। ভোটের মরশুমে নির্বাচনী বিধির তোয়াক্কা না করেই বন্ধ কারখানা পরিদর্শন করেছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন অমিত শাহের মুখ দিয়ে সেই বন্ধ কারখানায় নতুন বিনিয়োগের কথা শুনিয়ে স্বপ্ন দেখাতে চাইল গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রে দশ বছর ক্ষমতায় থাকার সময় তা নিয়ে উদ্যোগ না নিয়ে ভোটের আগে কেন এই তৎপরতা, প্রশ্ন উঠছে শহরজুড়ে। অনেকেরই কটাক্ষ, এটা হিন্দুস্থান কেবলস মডেল।
দুর্গাপুরে সভা করতে এসে ইস্পাতনগরীর রূপকার আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের যোগসূত্রের কথা বলে মমতা। মঞ্চে আনন্দগোপালবাবুর পুত্র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় ও পুত্রবধূ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে নেত্রী বলেন, প্রথমবার যখন যাদবপুর থেকে আমি জিতেছিলাম আনন্দবাবু খুব খুশি হয়েছিলেন। আমাকে স্নেহ করতেন। দিল্লিতে তিনি যখন মারা গেলেন আমি ছিলাম। এদিন মাইক হাতে অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, ছ’বছর পর মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে এই বক্তব্য রাখছি। মা-বোনেদের একটি অনুরোধ করব, সকাল সকাল বুথে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। বিজেপি সরকার দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।
৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ডিপিএলের পুনরুজ্জীবন, অণ্ডাল বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের গড়ে তোলার উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন মমতা। পাশাপাশি তিনি দু’টি ইকোনমিক করিডর ও দু’টি ফ্রেট করিডরের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে সেল গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ২২ হাজার কোটি টাকা সেখানেও বিনিয়োগ হচ্ছে। আপনাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। বিজেপির মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। নিজস্ব চিত্র