বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বয়স্ক ভোটারদের ভোটগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ বিধানসভা এলাকার ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক নাগরিকদের মধ্যে ৩১জনের বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এই ৩১জনের মধ্যে সাতজন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। অথচ জিয়াগঞ্জ থানার এই বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের ভোট নিতে কেউ আসেননি।
এখানকার আবাসিক শান্তি মণ্ডল বলেন, দেশের সরকার গঠনে আমাদের এক-একটি ভোট খুব মূল্যবান। কিন্তু আমাদের কাছে ভোটের আবেদন নিয়ে কেউ হাজির হননি।
প্রার্থীরা কেউ বৃদ্ধাশ্রমে পা না রাখায় আফশোস চেপে রাখেননি এখানকার আবাসিকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকায় ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালনায় ওই বৃদ্ধাশ্রমে ১৫জন মহিলা আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২জনের ভোটার ও আধার কার্ড তাঁদের সঙ্গেই আছে। আবাসিক পুতুল গুহ বলেন, একসময় ভোটের ময়দানে আমরাও কাজ করেছি। সেই আমরাই এখন ভোটের উত্তাপ থেকে বহু দূরে।
ভোট নিয়ে এখন আর তেমন আগ্রহ নেই বন্দনা বিশ্বাসের। কিন্তু উষা সাহা মনে করেন, বৃদ্ধাশ্রমে বসে তাঁরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেদিকে নির্বাচন কমিশনের নজর দেওয়া উচিত। এই বৃদ্ধাশ্রমের কেয়ারটেকার অনুপ পাল বলেন, আবাসিকরা কীভাবে ভোট দিতে পারবেন, তা নিয়ে পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের কেউই যোগাযোগ করেনি।