বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
শান্তিপুর শহরের মোট ভোটার সংখ্যা দু’লক্ষের কিছু বেশি। এবছর প্রায় ১৮০০ জন নতুন ভোটার হয়েছেন। শহরের ভোটব্যাঙ্ক টানতে ওয়ার্ড ভিত্তিক জনসংযোগের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই শান্তিপুর শহর তৃণমূলের তরফে প্রতিটি ওয়ার্ডের নতুন ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে আগাম শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এই শহরের বৈষ্ণব বাসিন্দাদের মন পেতেও শান্তিপুরকে নিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে প্রচার চালানো হচ্ছে। তৃণমূলের প্রচারে অন্যতম ছিল, শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী ভাঙা রাসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেরিটেজ ঘোষণা করা, শান্তিপুরের বিধায়কের তরফে রাসের সময় বিদ্যুতের সাশ্রয় দেওয়া, শহরের প্রাচীন মন্দিরগুলিকে ঢেলে সাজানো, নৃসিংহপুর, গুপ্তিপাড়া ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়ন ও ফেরি পরিষেবা উন্নয়ন করার মতো বিষয়গুলি। পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত শান্তিপুর পুরসভার তরফে শহরকে ঢেলে সাজানোর বিষয় তো রয়েইছে।
শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে শান্তিপুরে বিজেপির থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম আমরা। এবার সেই ক্ষত শুধু মেরামত হবে না, আমরা লিড পাব।
গত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসেবে জগন্নাথ সরকার অদ্বৈতভূমি শান্তিপুরের জন্য যে কিছুই করতে পারেননি, তা স্বীকার করে নিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বেরই একাংশ। বিজেপি কর্মীদের দাবি, মন্দিরকেন্দ্রিক শান্তিপুরকে শান্তিপুর ধাম হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ ছিল জগন্নাথবাবুর কাছে। তিনি চাইলেই শহরের পুরনো বিগ্রহ বাড়িগুলির সংস্কারের জন্য সিএসআর ফান্ড থেকে টাকা আদায় করে আনতে পারতেন। সেই ক্ষমতা হাতে থাকা সত্ত্বেও বিগ্রহ বাড়িগুলিকে নিয়ে আলোচনায় পর্যন্ত তিনি বসেননি। শুধু বিজেপি কর্মীরাই নয়, শান্তিপুরের প্রবীণ বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, ২০০৪ সালে ইউপিএ-১ সরকার থাকাকালীন শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দে ঐতিহ্যবাহী ভাঙা রাসের প্রায় দেড় ঘণ্টা লাইভ সম্প্রচার দেখিয়েছিলেন দূরদর্শনে। সেই সময় তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী ছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। জগন্নাথ সরকার চাইলে তো রাস, অদ্বৈত পাট, কৃত্তিবাস ওঝার জন্মভিটে বয়রার জন্য অনেক কিছুই করতে পারতেন। কিন্তু, তিনি কিছুই করেননি।
বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার অবশ্য বলেন, শান্তিপুরের জন্য অনেক কিছুই করেছি। ভবিষ্যতে শান্তিপুর ও নবদ্বীপকে বিশ্ব সনাতনীদের মিলনস্থল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃণমূল নেতারা এসব জানে না বলেই কুৎসা রটাতে ব্যস্ত।
রাজনৈতিক মহল অবশ্য বলছে, মন্দিরকেন্দ্রিক বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে বিজেপি সাংসদরা যে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, তার এক শতাংশও শান্তিপুর ও নবদ্বীপের জন্য করেননি জগন্নাথ সরকার।