বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। ভ্যাপসা ও অস্বস্তিকর গরম উপেক্ষা করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থকের সমাগম হয়। সভায় বসার চেয়ার ভরে গিয়ে ছাউনির বাইরেও থিকথিক করতে থাকে জনগণের ভিড়। সভা ঘিরে কল্পতরু মেলা ময়দান অকাল মেলার চেহারা নেয়। সভাস্থলের বাইরে বাদাম ভাজা, আইসক্রিম, লস্যি সহ নানা ঠান্ডা পানীয়, তরমুজ, শশা থেকে বেলুন ও বাচ্চাদের খেলার জিনিসপত্র নিয়ে বিক্রেতারা ভিড় করেন। ভ্যাপসা গরমে সাময়িক স্বস্তি পেতে ও শিশুদের মনোরঞ্জন করতে অনেকে তা কেনেন। দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের বাসিন্দা বছর আঠাশের যুবক বিকাশ বাউরি বলেন, ছোট থেকেই দিদিকে খুব ভালো লাগে। তিনি গরিব মানুষের কথা ভাবেন। তাঁদের পাশে আছেন। আমাদের মতো দুঃস্থ পরিবারের প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেককিছু করেছেন তিনি। প্রতি মাসেই আমি ভাতা পাই। আমার দৃষ্টিশক্তি নেই। তাই আমি দিদিকে কোনওদিনও দেখতে পাব না। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সভায় বসে তাঁর বক্তব্য শুনে অনুভব করতে এসেছি। সভায় উপস্থিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কার্তিক ভৌমিক বলেন, আমি দিদির জন্যই ভাতা পাই। তাঁকে একবার কাছ থেকে দেখতে সাইকেলে করে এসেছি।
দুই পা বিকল আর এক যুবক শেখ আকবর আলির। ট্রাইসাইকেল চালিয়ে তিনি সভায় আসেন। তিনি বলেন, দিদি সম্মানিক ভাতা দেন। ঘরের মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কন্যাশ্রী দেন। তিনি আমাদের কাছে মাতৃতুল্য। দিদির জন্য বহু প্রতিবন্ধী উপকৃত হচ্ছেন। তবে সভায় আমাদের জন্য বসার আলাদা জায়গা করলে ভালো হতো। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এবার থেকে অবশ্যই প্রতিবন্ধীদের জন্য বসার আলাদা জায়গা করা হবে।