বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন মানিক উপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি বলেন, সিপিএমের আমলে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছি উনি আর আমি। আজ উনি বেঁচে থাকলে আমাকে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ভাত খাওয়াতেন। তার ছেলেরা যদি আমাকে অপমান করে তবে তা হবে বাবাকেই অপমান করার শামিল। দলীয় পাটি অফিসেই ছিলেন তৃণমূল নেতা মানিক উপাধ্যায়ের ছেলে মুকুল উপাধ্যায়। মুকুলবাবু বিজেপি প্রার্থীকে প্রণামও করেন। তারপরেই তিনি বলেন, বাবার শিষ্টাচার গুরুজনদের সম্মান করতে বলে। তাই প্রণাম করেছি। পাঁচ দশক আগে উনি বাবার বন্ধু ছিলেন হয়তো, কিন্তু বাবার মৃত্যু বা তার আগে পরে কোনওদিনই যোগাযোগ রাখেননি।
শুধু বারাবনি বিধানসভা এলাকায় নয়, সিপিএমের আমলে শিল্পাঞ্চলে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতেন মানিক উপাধ্যায়। ২০০১ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। বর্তমানে তাঁর ছেলে বিধান উপাধ্যায় বারাবনি বিধানসভা এলাকার তৃণমূলের এমএলএ ও আসানসোলের মেয়র। বারাবনিতে এখনও মানিকবাবুর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। যে কোনও বড় সভামঞ্চেই তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা স্মরণ করেন তাঁর নাম। এ হেন নেতার মূর্তিতে মাল্যদান করে ফায়দা লোটার চেষ্টা বিজেপি প্রার্থী করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা। যদিও বিধানবাবু স্পষ্ট জানিয়েছেন, বারাবনির মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া কোনও দলের অস্তিত্ব নেই। ভবিষ্যতেও মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরই পাশে থাকবেন। সুরেন্দ্রর এই ঘটনা নতুন নয়। বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া তৃণমূলের রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামাইবাবু। এই প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই, তিনি বলেছিলেন শুধু তাপস কেন মলয় ঘটকও আমার আত্মীয় হয়।
শুধু প্রকাশ্যে আত্মীয়তা পাতানোই নয় বিজেপি সূত্রে খবর মিলছেনিজেরদলের কর্মীদের উপর সম্পূর্ণ আস্তা রাখতে না পেরে ৫ দশক আগে নিজের কংগ্রেস নেতা হিসাবে যে পরিচিত ছিল তা কাজে লাগাতে চাইছে টিম সুরেন্দ্র। বিভিন্ন কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করাহচ্ছে।
যদিও এদিনও আলুওয়ালিয়াকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।দুর্গাপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, উনি প্রার্থী হবেন আর প্যাকেট করে টাকা বিলি হবে না তা কি হয়। তোমরাবর্ধমানদুর্গাপুরে কাদের কাদের টাকা দিয়েছিলে কত টাকা দিয়েছেন সব জেনে গিয়েছি।আমরাএবার নজর রাখছি। তিনি শিখ বলে আমার সম্মান রয়েছে কিন্তু আমার আক্ষেপ পুলিস অফিসার কে যখন খালিস্তানি বলা হল তিনি কেন চুপ ছিলেন। তিনি দার্জিলিং থেকে পলায়ন্তি করে একবার দুর্গাপুর এলেন আবার দুর্গাপুর থেকে পলায়ন্তি করে আসানসোলে গিয়েছেন।। দিলীপ ঘোষ সম্পর্কেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন মেদিনীপুর থেকে আপনাকে বর্ধমানদুর্গাপুরে পালিয়ে আসতে হল, কিছুতোএকটা বিষয় আছে। কীগ্যারান্টি আছে, আপনি এখান থেকে পালিয়ে যাবেন না।