বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের কিছু অংশে কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছনোর ব্যবস্থা হলেও বাকি অংশে তা হয়নি। সেজন্য ওই এলাকায় বারবার ট্রান্সফরমার পুড়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে নতুন ট্রান্সফরমার বসানো হলেও শনিবার ফের তা পুড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে। তাই তাঁরা অবিলম্বে নতুন ট্রান্সফরমার বসানোর দাবিতে সরব হন। সেইসঙ্গে শর্ট সার্কিট ঠেকাতে গ্রামের বাকি অংশেও কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি তোলা হয়।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির বিষ্ণুপুর ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার অর্ক মুসিব বলেন, বগডহরা গ্রামে পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমার খুব তাড়াতাড়ি বদলানো হবে। প্রচণ্ড গরমের কারণে কেবল লাগানোর কাজ ধীরগতিতে চলছে। আবহাওয়া বদলালেই নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মহম্মদ খান বলেন, আমাদের পাড়ার ট্রান্সফরমার থেকে প্রায় ১৫০টি বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। গত ছয় মাসের মধ্যে তিনবার ট্রান্সফরমার পুড়েছে। প্রতিবারই আমাদের ভোগান্তি হয়। শনিবার ওই ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। তারপর থেকে আমাদের পুরো পাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিতে অভিযোগ জানিয়েছি। সেখান থেকে আশ্বাস দিলেও কবে নতুন ট্রান্সফরমার বসবে-তার নিশ্চয়তা নেই। তাই আমরা একজোট হয়ে বিষ্ণুপুরে বিদ্যুৎ অফিসে এসেছি।
এলাকার অপর বাসিন্দা দিল মহম্মদ চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় শিশু থেকে বয়স্করা গরমে খুব কষ্ট পাচ্ছে। সাবমার্সিবল পাম্প চালাতে পারছি না। দূর থেকে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে। প্রায় ছয় মাস আগে আমাদের পাড়ায় কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। তাই আমরা এদিন কাজ ছেড়ে বিদ্যুৎ অফিসে দরবার করতে এসেছি।