বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ার অরূপ চক্রবর্তী ও বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ দু’জনেই ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এজন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা জমা করেছেন। সেই হলফনামাতেই দেখা গিয়েছে, বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপবাবু বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ওন্দা বিধানসভার মিথিলা এলাকার বাসিন্দা। বাঁকুড়া শহরের স্কুল ডাঙাতেও অবশ্য অরূপবাবুর বাড়ি রয়েছে। বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অধীন শালতোড়া বিধানসভার দুর্লভপুরের বাসিন্দা। তিনিও হলফনামায় সেখানকার ঠিকানাই উল্লেখ করেছেন। ফলে তাঁরা নিজেদের ভোট নিজেকে দিতে পারবেন না।
এনিয়ে অরূপবাবুকে কটাক্ষ করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, বাঁকুড়া লোকসভার ভোটের ফলাফল আগাম বুঝতে পেরেছেন অরূপবাবু। তাই তিনি নিজেকে নিজের ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেননি।
পাল্টা অরূপবাবু বলেন, বাঁকুড়া জেলাজুড়ে আমি কাজ করেছি। সভাধিপতি হিসেবে গোটা জেলায় আমার হাত ধরে উন্নয়ন হয়েছে। সুভাষবাবু এবার হারবেন। তাঁর বিশ্রাম নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীও নিজেকে নিজের ভোট দিতে পারবেন না। সুভাষবাবু নিজের ঘরের ভোটও পাবেন না। সেই জন্য অপব্যাখ্যা করছেন।
বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, বিজেপি প্রার্থী বহিরাগত। সেই জন্য তিনি কখনও বিষ্ণুপুরের কথা মন থেকে ভাবেননি। আমি বিষ্ণুপুরের ভূমিকন্যা। বিষ্ণুপুরের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মিক যোগ রয়েছে।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, গত ১৩ বছর ধরে বিধায়ক ও সাংসদ হিসেবে বিষ্ণুপুরের কাজ করছি। প্রতিটি এলাকায় আমার তহবিল থেকে উন্নয়ন পৌঁছে গিয়েছে। সেই জন্য মানুষের আশীর্বাদ এবারও পাব। তাছাড়া আমি বাঁকুড়া জেলায় জন্মেছি, বড় হয়েছি। বহিরাগত বলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।