বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২৫মে ভোট হবে। জুনের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল গত শুক্রবারই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবারই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সাধারণত শেষ দিনে মনোনয়ন পেশের ‘ঝুঁকি’ নেন না প্রার্থীরা। কিন্তু সোমবার শুভদিন ও শুভ যোগ থাকায় এদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জুন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এদিন সকালেই শালবনীর কর্ণগড়ে মহামায়া মন্দিরে পুজো দিতে যান জুন। তারপর সেখান থেকে নির্মল হৃদয় আশ্রম চার্চে যান। সেখানেও আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। তারপর মেদিনীপুর কলেজ মাঠে শোভাযাত্রায় যোগ দেন। মনোনয়নের আগে মন্দিরে কেন, গণদেবতায় ভরসা নেই? প্রশ্ন শুনেই জুনের জবাব, ‘গণদেবতায় অবশ্যই ভরসা রয়েছে। ঈশ্বর তো মানুষের হৃদয়েই আছেন। কিন্তু সর্বশক্তিমান বলে কেউ তো একজন আছেন। আমি কোনও ভণ্ড নই। আমি ধার্মিক, ভগবানে বিশ্বাস করি। আমি সর্বধর্মে বিশ্বাস করি। তাই আমি শুধু মন্দিরেই যাইনি, গির্জাতেও গিয়েছি।’
এদিন মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে তৃণমূলের তরফে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। শোভাযাত্রায় মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূলের দাবি, প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ ওই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত ব্লক থেকেই তৃণমূলের পতাকা, নীল-সাদা বেলুন, ঘাসফুল আঁকা ছাতা নিয়ে মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ট্যাবলো ছিল। শোভাযাত্রায় এত জৌলুস কেন? বিজেপিকে টেক্কা দিতে? এই প্রশ্নে জুনের জবাব, এটা কোনও প্রতিযোগিতা নয়। কর্মীরা আবেগতাড়িত হয়ে এসেছেন। আমার মনোবল বাড়াতে দুই মন্ত্রী এসেছেন। ব্লক সভাপতি এবং বিধায়করা ছিলেন। এটা একটা স্ট্রং পরিবারের চিহ্ন।’ তাঁর সংযোজন, ভিড় দেখে মনে হচ্ছে জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।
এদিন জুন দুপুর ১২টায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে ঢোকেন। বেরিয়ে আসেন ১২টা ১৫মিনিট নাগাদ। এদিনের আবহাওয়াও ছিল জুনের অনুকূলেই। শোভাযাত্রায় হাঁটলেও রোদে পুড়তে হয়নি কর্মীদের। মেঘলা আকাশ, সঙ্গে সারাক্ষণ ফুরফুরে বাতাস। এপ্রসঙ্গে জুন হেসে বলেন, ‘যে সংখ্যায় কর্মীরা আমার সমর্থনে এসেছেন, মনে হচ্ছে ঈশ্বর মুখ তুলে চেয়েছেন।’ তবে শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি করেছেন জুন। তাঁর বার্তা, ‘আমি চাইব ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট হোক। মানুষকে বলব, আপনারা সকাল সকাল নিজের ভোটটা নিজে দিন। এই নির্বাচনটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’