বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
বীরভূমে প্রচারের মাঝে প্রার্থী বদল নিয়ে এমনিতেই বিপাকে বিজেপি। দিশেহারা অবস্থা কর্মীদের। কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতারা প্রচারে এলেও গ্রামগঞ্জের কর্মীদের একাংশ কার্যত বাড়িতে বসে রয়েছেন। এছাড়া কাউকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ বহিষ্কৃত করে রাখা হয়েছে। তার উপরে বহু কর্মী জেলার নেতাদের কর্মকাণ্ডে বীতশ্রদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। এই অবস্থায় প্রতিটি বুথে এজেন্ট বসানো নিয়ে চাপে বিজেপি নেতারা।
বিজেপি সূত্রের খবর, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে ১৯৪১টি বুথ। তার মধ্যে চারশোর অধিক বুথে নেই কোনও কমিটি। বাইরের বুথের লোকদের নিয়ে ওইসব গ্রামে প্রচার করতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু ভোটের দিন ভোটারদের শনাক্ত করার জন্য ওই সমস্ত বুথে এজেন্ট দেওয়াটাও এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশল বদলে তারা প্রচার করছে, ইভিএমে কত নম্বরে পদ্মফুলের প্রতীক রয়েছে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, সমস্ত বুথে এজেন্ট দেওয়াই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। ১৫০০ বুথে আমরা এজেন্ট দিতে পারব। অধিকাংশ সংখ্যালঘু এলাকার বুথে সমস্যা রয়েছে। সেটারই সমাধানের চেষ্টা চলছে।
যদিও তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ভিতরে ভিতরে তৃণমূল বিরোধী সমস্ত দলের আঁতাত আগে থেকেই রয়েছে। এবার প্রকাশ্যে আসছে। আমরা চাই সমস্ত বুথেই সব দলের এজেন্ট থাকুক। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হচ্ছে। ফলে কারচুপির কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবাক লাগছে সমস্ত নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে এখন বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ সব এক জায়গায় এসেছে। কারণ, যে করে হোক ক্ষমতায় আসতে হবে। অর্থাৎ যে বুথে বিজেপি এজেন্ট দিতে পারবে না, সেখানে বাকি দলের কর্মীদের বসাবেন। কিন্ত ওরা যতই মহাজোট করুক, মানুষ জোড়াফুলের সিম্বলকেই বেছে নেবেন।
এব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, মিথ্যাচার করছে তৃণমূল। আমরা বলেছি, দেশে লুটেরা বিজেপি আর রাজ্যে লুটেরা তৃণমূলকে হটাও। এখান থেকে এক ইঞ্চিও আমরা সরছি না। কারণ, এটা আমাদের আদর্শগত সংঘাত।
অন্যদিকে আঁতাতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তারা বলে, মানুষ ইভিএমে পদ্মফুলের প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। কারও সঙ্গে আঁতাতের কোনও প্রশ্নই নেই।