বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি অনুপ দাস বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার মানুষকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে। এ দেশে কেউ আগে এরকম কিছু ভাবেনি। আমরা প্রচারে বেরিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এর ফল ব্যালট বাক্সে পড়বে।
হাঁসখালি ও কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েত নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। এখানে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ২১ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল পরাজিত হয়। তার মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকেই ছয় হাজার ভোটে শাসকদল হেরেছিল। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল এখানে সংগঠন ঢেলে সাজিয়েছে। ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তা রয়েছেন ২২৭২জন। তাই এই প্রকল্পের সুফল নিয়ে প্রচার চালাতে ভোলেনি তৃণমূল।
দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেন। যে সমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার কম, তাদের মেয়ের বিয়ের জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেয় সরকার। তবে আবেদনকারী পাত্রীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার দিন পর্যন্ত তাঁকে অবিবাহিতা থাকতে হবে। আবেদনকারীর নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। বয়সের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে জন্মের শংসাপত্র, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ডের স্ব-স্বাক্ষরিত জেরক্স লাগবে। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটারের কাছে এই প্রকল্প নিয়ে প্রচার করছে শাসকদল।
রূপশ্রী প্রকল্পে কৃষ্ণগঞ্জের অনেক পরিবারের মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তা দূর হয়েছে। ভাজনঘাটের শিবানী হালদারের বাবা পেশায় শ্রমিক। নিজের বিয়ের খরচ যোগাতে শিবানী রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন। তাঁর অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছে। শিবানী বলেন, আমাদের অবস্থা ভালো নয়। আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে। এতে বিয়ের খরচ উঠে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দূর থেকেই প্রণাম জানাচ্ছি। দুর্গাপুরের রিয়া ঘোষ বলেন, মাসখানেক আগে আমার বিয়ে হয়। তখন টাকার খুব দরকার ছিল। বাবা চাষাবাদ করেন। রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা পেয়েছি। এর জন্য দিদিকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই। রূপশ্রী প্রকল্পের এই জনপ্রিয়তাকেই এবার অস্ত্র করছে তৃণমূল।