বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
যদিও বিরোধীরা তৃণমূলের দাবি মানতে চায়নি। সিপিএম নেতা শুকুল শিকদার বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল কীভাবে জয়ী হয়েছে-তা সবাই জানে। এসবে লাভ হবে না। এবার লোকসভা ভোটে আমরাই জয়ী হব।
কালনা-১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় কালীনগর ও উদয়গঞ্জ গ্রাম। পাশেই রয়েছে কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের কলডাঙা ও নতুনচর গ্রাম। চারটি গ্রামই কালনা থেকে স্থলপথে বিচ্ছিন্ন। গ্রামের বাসিন্দাদের ভাগীরথী নদী পেরিয়ে কালনায় স্কুল-কলেজ, বাজার ও হাসপাতালে যেতে হয়। এক দশক আগেও এই সমস্ত গ্রামে ভালো রাস্তা, পানীয় জল ও বিদ্যুতের সুব্যবস্থা ছিল না। কালীনগর, কলডাঙা ও নতুনচর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম। উদয়গঞ্জে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বাস। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্ত গ্রামে পানীয় জল পরিষেবা ও রাস্তা হয়েছে। কালীনগরে ভাগীরথী নদীর ফেরিঘাট থেকে নদীয়ার বাঁগাচড়া পর্যন্ত সাড়ে আট কিমি পিচের রাস্তা হয়েছে। গড়ে উঠেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আগে ফেরিঘাটে বাঁশের মাচান থাকায় নদী পারাপার করায় ঝুঁকি ছিল। সম্প্রতি কালীনগরে ফেরিঘাটের দু’দিকে স্থায়ী জেটি তৈরি হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে হলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কলডাঙা ও নতুনচরে একসময় কাঁচা রাস্তা ছিল। অন্য গ্রামের মানুষ এই গ্রামে ছেলেমেয়ের বিয়ে দিতে চাইতেন না। আজ গ্রামে ঢালাই রাস্তা হয়েছে। পানীয় জল মিলছে। সম্প্রতি দেড় কোটির বেশি ব্যয়ে কালীনগর থেকে কলডাঙা পর্যন্ত আড়াই কিমি পিচের রাস্তা করা হচ্ছে। শাসকদলের দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার উন্নয়নের নিরিখে কালীনগর ও উদয়গঞ্জে তৃণমূলের পাল্লা ভারী থাকায় বিরোধীরা প্রার্থীই দেয়নি।
কালীনগরের পঞ্চায়েত সদস্য লবা মোল্লা বলেন, এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ঐকান্তিক চেষ্টায় গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তা ভোটে আমাদের অ্যাডভান্টেজ দেবে বলে মনে করছি। একারণে আমরা তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছি।
কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সালাম শেখ বলেন, একসময়ের অনুন্নত কলডাঙা ও নতুনচর আজ উন্নয়নে হাসছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কাছে কৃতজ্ঞ। এই উন্নয়নের কথাই প্রচারে তুলে ধরছি।