বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
কাঠফাটা রোদে মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন। জীবজন্তুরাও দুপুরের হাঁসফাঁস গরমে গাছের ছায়ায় জিরোচ্ছে। স্বস্তি নেই ফুল চাষিদের। গাছ বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিদিন দু’বেলা তাঁদের ফুলগাছের পরিচর্যা করতে হচ্ছে। সকাল, বিকেলে জল দিয়েও গাছ বাঁচিয়ে রাখাটা চাষিদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদন কমে যাওয়ায় তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে। এদিকে বাজারে ফুলের বিক্রিতে ভাটা চাষিদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ফুলচাষি দুলাল মণ্ডল বলেন, সাতাশ বছর ফুল চাষ করছি। এমন সমস্যা আর চিন্তায় কোনওদিন পড়তে হয়নি। বৈশাখ মাসে বিয়ের মরশুমে ফুলের চাহিদা এবারই প্রথম ভাবাচ্ছে।
ফুল চাষিদের দাবি, দিন কয়েক আগে রজনীগন্ধা ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার সেই দাম ৯০-১০০ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। ফুল চাষি রমেন সাহা বলেন, দশদিন আগে ২০ পিসের গাঁদার চেন পাইকারি বাজারে ১০-১২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার সেই দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাও ফুল কেনার লোক নেই। ভোরে ফুল তুলে সব বিক্রি হচ্ছে না। ফ্রিজে রাখতে হচ্ছে। চাষিদের দাবি, একমাত্র গোলাপের দাম লাভের অঙ্ক ধরে রেখেছে। দিন সাতেক আগে বহরমপুর শহরে ৫০ টাকায় ৫০ পিসের লাল গোলাপের বান্ডিল মিলছিল। মঙ্গলবার বহরমপুরে তিন টাকা পিস হিসাবে গোলাপ বিক্রি হয়েছে।
বহরমপুরের বিদ্যাসাগর স্ট্যাচু মোড়ের ফুল বিক্রেতা সতন ঘোষ বলেন, আজ গাঁদার চেন (২০ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৬-৭ টাকা দামে। সরু রজনীগন্ধার চেন ১০ টাকা, মোটা রজনীগন্ধার চেন ৩০-৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনের আমদানির প্রায় এক তৃতীয়াংশ ফুল অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।