বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের এফএসটি, এসএসটি, ভিএসটি সহ বিভিন্ন টিম জেলাজুড়ে কাজ করছে। বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং করে এসব উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬ মার্চ ভোট ঘোষণার সময় থেকেই অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার কাজ চলছে।
নদীয়ার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ বলেন, আমাদের বিভিন্ন টিম ২৪ ঘণ্টা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে। দেড় মাসে নগদ টাকা, মদ, অন্যান্য নেশার দ্রব্য, ধাতব সামগ্রী সহ বিভিন্ন জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রশাসন নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন করতে তৎপর রয়েছে। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সময় থেকেই নদীয়া জেলাজুড়ে ১৪০টি ফ্লাইং স্কোয়াড টিম, ১৯০টি স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিম, ৪০টি ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম সহ পাঁচরকম টিম গঠিত হয়েছে। তাঁদের কাজ হল, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। কোথাও অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই পুলিসের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া। ভোটারদের প্রভাবিত করার মতো কোনও জিনিস এলাকায় ঢুকছে কিনা-সেদিকে নজর রাখা। সম্প্রতি কালীগঞ্জ ব্লকের বল্লভপাড়া থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে এসএসটি টিম।
দুই পুলিস জেলা মিলিয়ে নগদ ৪১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে কৃষ্ণনগর পুলিস জেলা থেকেই প্রায় ৪০ লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। দুই পুলিস জেলা থেকে মোট ১৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিন কোটি টাকার বেশি দামের নেশার সামগ্রী কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট পুলিস জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে আড়াই কোটি টাকার নেশার সামগ্রী কৃষ্ণনগর পুলিস জেলায় পাওয়া গিয়েছে।
তবে নজর কেড়েছে সোনারুপোর মতো দামি ধাতব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার পরিসংখ্যান। দেড় মাসে প্রায় ৯ কোটি টাকার ধাতব সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার ১০০ শতাংশই রানাঘাট পুলিস জেলার। মঙ্গলবার পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত টাকা ও দামি সামগ্রী মিলিয়ে অঙ্কটা ১২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিটি টিমে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখা হয়েছে।
সবমিলিয়ে প্রায় ৪৫০জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই কাজ চলছে। সন্দেহজনক কোনও গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতে পারে এফএসটি টিম। ভিএসটি টিমের কাজ হল রাজনৈতিক প্রচারে কোনওরকম নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে কিনা-সেদিকে নজর রাখা।