সংবাদদাতা, কাটোয়া: পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‘অপশন’ নেই। বিকল্প প্রশ্ন না থাকায় যা প্রশ্ন করা হয়েছে তারই উত্তর লিখতে হবে। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন পড়ুয়ারা। সোমবার সাদা খাতা জমা দিলেন কাটোয়া কলেজের দর্শন বিভাগের পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে অধ্যক্ষ তাঁদের আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ ওঠে। কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার পড়ুয়াদের পাশেই দাঁড়ান। তিনি বলেন, পড়ুয়াদের অভিযোগ যথাযথ। প্রশ্নপত্রে অপশন নেই। যা প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে তাই তাদের উত্তর লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাতেও এমনটা হয় না। কেন এমনটা হল তা নিয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চাইব। আমরা পরিচালন সমিতির বৈঠকে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। 
জানা গিয়েছে, এদিন থেকে কলেজের দর্শন বিভাগের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের চতুর্থ সেমেস্টারের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষা শুরু হয়। ১০নম্বরের এই পরীক্ষা হয়। পাঁচ নম্বর করে দু’টি প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রশ্নপত্রে। কিন্তু বিকল্প কোনও প্রশ্ন দেওয়া হয়নি। এরপরেই পড়ুয়ারা ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে না পেরে প্রত্যেকেই সাদা খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। দর্শন বিভাগের ৩৫ জন পড়ুয়াই সাদা খাতা জমা দেন। তাঁরা অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানান, অনিয়মিত ক্লাস নেওয়া হয়। পরীক্ষার একদিন আগে এক শিক্ষিকা টানা তিন ঘণ্টার ক্লাস নিয়ে সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। 
দর্শন বিভাগের ছাত্রী বিপাশা বসাক, দিশা দত্ত বলেন, আমাদের এক শিক্ষিকা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। যেখান থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সেবিষয়ে ক্লাসেও পড়ানো হয়নি। সারাবছর আমাদের ক্লাস নেওয়া হয়নি। তাই আমরা ওই প্রশ্ন লিখতে না পেরে সবাই সাদা খাতা জমা দিয়েছি। আমরা চাই আগে নিয়মিত ক্লাস হোক। এদিন অধ্যক্ষ বলেন, ক্লাসে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা পড়ুয়া প্রত্যেককেই আসতে হবে। ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে কলেজের পড়ুয়ারা যাতে ভালো নম্বর পায় সেদিকে দেখতে হবে। ওই পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া যায় কি না পরিচালন সমিতির বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেব।