উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, আদালত ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও উদ্যোক্তাদের একগুচ্ছ নিয়ম মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা সোনামুখী সহ জেলার সমস্ত পুজোকমিটিকে সেই নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছি। উদ্যোক্তারা মেলা, শোভাযাত্রার অনুষ্ঠান বাতিল করেই পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোনামুখী পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, করোনা মোকাবিলায় আদালতের নির্দেশ মানার জন্য আমরা সমস্ত পুজো কমিটিকে অনুরোধ জানিয়েছি। পুজো কমিটিগুলি সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে কাটছাঁট করেই পুজোর আয়োজন করছে।
দুর্গাপুজোর চেয়েও কালী ও কার্তিক পুজোয় বেশি ধুম দেখা যায় বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরে। শহরে বিভিন্ন নামের ২২টি কালীপুজো হয়। এছাড়াও শহরে ছোট ছোট আরও শতাধিক কালীপুজো হয়। সোনামুখীর পুজোর মূল আকর্ষণ হল, বিশাল আকারের প্রতিমা ও বর্ণাঢ্য বিসর্জনের শোভাযাত্রা। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আদালতের নির্দেশে শোভাযাত্রা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি কমিটি পুজোর আয়োজনেও কাটছাঁট করেছে।
শহরের বিখ্যাত পুজোগুলির মধ্যে মা-ই-ত কালী পুজো কমিটির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার আমাদের পুজোয় বাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ধুনো পোড়ানো, দণ্ডিকাটা, প্রসাদ বিলি, নরনারায়ণ সেবা, পাঁচ দলের বাজনার মতো প্রাচীন রীতিগুলি বন্ধ করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশে সামাজিক দূরত্ববিধি মানতেই এই কাটছাঁট করা হচ্ছে।
বড়কালী কমিটির সভাপতি বন্যা আঁকুড়ে বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই আমরা পুজোর আয়োজন করছি। মন্দিরের বাইরে সামাজিক দূরত্ব মেনেই ভক্তদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাজি ফাটানো, দণ্ডিকাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা বিসর্জনের শোভাযাত্রার মতো প্রাচীন রীতিগুলি এবছরের জন্য প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সোনামুখীর মতোই বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতোড়া ও পলাশতলা মহাশ্মশানের পুজোকে ঘিরে মেলা এবার হচ্ছে না। লক্ষ্যাতোড়া শ্মশানকালী পুজো কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা দিলীপ আগরওয়াল বলেন, সরকার ও আদালতের নির্দেশ মেনে এবার চন্দননগরের রকমারি আলো ও মেলার অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ববিধির কথা মাথায় রেখে ঘট আনার শোভাযাত্রাও এবার বাতিল করা হচ্ছে। শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার জন্য কয়েকজন শুশুনিয়া থেকে মায়ের ঘট আনবে। এছাড়াও প্রসাদ বিলি ও নরনারায়ণ সেবার অনুষ্ঠানও এবার হচ্ছে না। ভিড় এড়াতে মন্দিরের সামনে দূরত্ববিধি মেনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।