উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে সারা রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর মানবিক প্রকল্প চালু হয়। এই প্রকল্পে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন। এরজন্য বিডিও অফিসে আবেদন করতে হয়। আবেদনের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুকের জেরক্স, স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, ছবি ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র জমা করতে হয়।
বীরভূমে এখনও পর্যন্ত ১৯ হাজার ২২৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি মানবিক প্রকল্প থেকে ভাতা পাচ্ছেন। তারপরও জেলার প্রতিটি ব্লকেই বহু মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা ভাতা পাচ্ছিলেন না। দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, মানবিক প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়ার জন্য রাজ্য থেকে অনুমতি দিয়েছে। তাই এব্যাপারে কাজ শুরু করা হচ্ছে।
মানবিক প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভাতা দেওয়ার ফলে তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। মানবিক প্রকল্পের পাশাপাশি জেলায় বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা পেতেও বহু আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি সম্পর্কে সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ব্লকগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। তাতে কয়েকহাজার উপভোক্তা বিধবা ও বার্ধক্য ভাতার জন্য ব্লকে আবেদন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ভাতাগুলি পাচ্ছিলেন না। কিন্তু, এবার সেব্যাপারেও কাজ শুরু হতে পারে বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের অনেকেই মনে করছেন।সিউড়ি-১ ব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকার বলেন, মানবিক প্রকল্পে ভাতার জন্য প্রায় ১৫০ জন আবেদন করেছিলেন। তাঁদের আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তালিকাও জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। মানবিক প্রকল্পে ভাতার জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। বোলপুর-শ্রীনিকেতনের বিডিও শেখর সাঁই বলেন, মানবিক প্রকল্পের জন্য প্রায় ২৫০ জনের আবেদন জেলায় পাঠানো হয়েছে। বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে হাজারখানেক আবেদনকারীর তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় বলেন, এই ব্লকের ক্ষেত্রেও প্রায় আড়াই হাজার আবেদনকারীর তালিকা পাঠিয়েছি।