উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, পলাশীপাড়া শহর না হলেও আধা শহর বলা চলে। এখানে নির্দিষ্টভাবে নেই কোনও ময়লা ফেলার জায়গা। বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ারও কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই মানুষ তাঁদের বাড়ির নোংরা-আবর্জনা ফেলেন রাস্তার পাশে বা জল নিষ্কাশনের জন্য নিকাশি নালায়। এতে দৃশ্যদূষণ যেমন হচ্ছে, তেমনি হচ্ছে পরিবেশ দূষণও। এখানেই আছে বাজার, ব্যাঙ্ক স্কুল ও ব্লক অফিস। অথচ এই জায়গায় নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই ময়লা ফেলার। বাসিন্দারা বলেন, প্রশাসনের উচিত পলাশীপাড়াকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করা। যদি পঞ্চায়েত বাড়ি বাড়ি সবুজ ও লাল বালতি দিয়ে আবর্জনা নিয়ে যায় এবং সেই আবর্জনা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে, তাহলে এলাকা সুন্দর হয়। নোংরা আবর্জনা বাড়ি থেকে তোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত একটা নির্দিষ্ট টাকা নিতে পারে। এতে যেমন নিজস্ব তহবিল বৃদ্ধি পায়, তেমনি এলাকা পরিষ্কার থাকে। কিছু বেকার ছেলের কর্মসংস্থানও হয়।
এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানে সেভাবে জন-পরিষেবা পাওয়া যায় না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দু’পাশে যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানি না কবে এই পরিবেশ থেকে মুক্তি পাব। অন্য বাসিন্দারা বলেন, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার জন্য আমাদের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টির সময় এই ময়লা নিকাশি নালায় পড়ছে, তাতে নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে জল থেকে যাচ্ছে রাস্তায়। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় অনেক মানুষ সেসব নদীর পাড়েই ফেলছেন। এতে নদীর জল দূষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে নদীর নাব্যতা। অবিলম্বে পঞ্চায়েত বা প্রশাসনের উচিত এলাকাকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা ও পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে নোংরা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা করা।