উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ঝাঁপ বন্ধ ছিল চপের দোকানের। সেই সময় সংসার চালাতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। আনলক পর্বে দোকান খোলার পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে নিউ নর্ম্যালে মানুষের বাইরের খাবারের প্রতি আকর্ষণ অনেকটাই কমেছে। ফলে বাজার এখনও খুব একটা চাঙ্গা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আলু ও পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে অধিকাংশ দোকানদারই চপ তৈরি করতে পারছেন না। প্রায় সমস্ত দোকানেই অমিল পেঁয়াজি। এছাড়া বেড়েছে তেলের দামও। বর্তমানে আলু ৪০টাকা, পেঁয়াজ প্রায় ৮০টাকা। ফলে চপ ও পেঁয়াজি ভেজে কোনওভাবেই লাভের মুখ দেখতে পারছেন না দোকানদাররা। গ্রামীণ এলাকাতেও অধিকাংশ দোকানে চপের দাম পাঁচ টাকা হয়ে গিয়েছে। বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কায় অনেক দোকানদার দামও বাড়াতে পারছেন না। সেই কারণে অনেক দোকানে আলুর চপ ও পেঁয়াজি পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ অল্প পেঁয়াজের সঙ্গে বাধা কপি মিশিয়ে দো-পেঁয়াজি বিক্রি করছেন। চপের সাইজ ছোট হয়ে গিয়েছে বহু দোকানে। তবে বেশিরভাগ দোকানে বেগুনি, কুমড়ি ও ফুলুরি বিক্রির উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।
কালনার এক চপের দোকানদার চিত্ত সরকার বলেন, ২৪ বছর ধরে চপ বিক্রি করছি। এমন অবস্থার মধ্যে কোনওদিন পড়িনি। আগে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও আলুর দাম সহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম কম থাকত। এবার পেঁয়াজের সঙ্গে আলু, তেল ও বেসনের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চপ, পেঁয়াজির দাম বাড়তে গেলেও সমস্যা হচ্ছে। তাই চপের সাইজ ছোট করতে বাধ্য হয়েছি। চপের সংখ্যা কম করে বেগুনি ও অন্যান্য জিনিসে জোর দিতে হচ্ছে।
একই অবস্থা শহরের কমলা মাসি, কেষ্ট দাদু, কাশীদার মতো চপের দোকানেও। তবে এই দাম আরও কিছুদিন বজায় থাকলে আলুর চপ ও পেঁয়াজির স্বাদ পুরোপুরি ভুলে জেতে হবে বাঙালিকে। অথবা এক পিস আলুর চপের দাম ১০ টাকাতেও পৌঁছতে পারে। নিজস্ব চিত্র