বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে হোম আইসোলেশনে থাকা সব করোনা রোগীর উপর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলার সব পঞ্চায়েত এলাকায় অ্যাডমিশন কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কিন্তু, জেলায় করোনা হাসপাতালগুলিতে যা বেড রয়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক সক্রিয় রোগী রয়েছে। ফলে, সব রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাই, উপসর্গহীন রোগীরা স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ মেনে বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন। পুজোর সময় নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেক মণ্ডপে ভিড় হয়েছে। বহু মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। খড়্গপুরে রাবণ বধের অনুষ্ঠান দেখতেও ভিড় উপচে পড়েছিল। স্বাভাবিকভাবে পুজোর পরপরই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালে রেখে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বেডের প্রয়োজন। তাই আগেভাগে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে বেড বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শালবনী করোনা হাসপাতালে ২০০টি বেড রয়েছে। আয়ুষ হাসপাতাল এবং আয়ুষ স্যাটেলাইট হাসপাতালে ২০০টি বেড রয়েছে। এছাড়া ডেবরায় ৪০টি, খড়্গপুরে ৫০টি এবং ঘাটাল হাসপাতালে ৮০টি বেড রয়েছে। ঘাটাল হাসপাতালের আরও ৩০টি বেড বাড়ানো হচ্ছে। ফলে, এই হাসপাতালে বেড বেড়ে হচ্ছে ১১০টি। আপাতত, হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের পঞ্চায়েতের অ্যাডমিশন কমিটির সদস্যরা নজরদারি চালাচ্ছেন। কারও, শারীরীক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলায় উপসর্গহীন আক্রান্তদের নিয়ে তেমন সমস্যা নেই। তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। কিন্তু, আক্রান্তদের মধ্যে উপসর্গ থাকলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাই আগেভাগে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।