বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পুলিসের দাবি, প্রতিবছর বছর পুজোর সময় বাইক বাহিনীর দাপট লক্ষ্য করা যায়। ভিড় রাস্তায় তারা জয় রাইডে শামিল হয়। তাতে দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই এবার আগে থেকেই এই বাইক বাহিনীর দাপট রুখতে পদক্ষেপ নিয়েছিল পুলিস। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় বর্ধমান শহরে ভিড় উপচে পড়ে। তাই মহাসপ্তমী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত শহরে চার চাকায় চড়ে প্রতিমা দর্শনের কোনও সুযোগ থাকে না। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাস ও লরির সঙ্গে এই ছোট গাড়ির উপরেও বিধি-নিষেধ থাকে। শহরে ঢোকার সমস্ত পয়েন্টে ‘নো-এন্ট্রি’ করা হয়। কিন্তু, এবার করোনা আবহে বাস ও লরির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ছোট গাড়ির উপর বিধি-নিষেধ ছিল না। ফলে, পুজোর দিনগুলিতে চার চাকা নিয়েই শহরে ঢুকেছিলেন বহু মানুষ। তাই বাড়তি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।
সাধারণ চেকিংয়ের পাশাপাশি, শহরের উল্লাস মোড়, কেশবগঞ্জ পুলিস ফাঁড়ির চত্বর, বীরহাটা সহ চার-পাঁচটি জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে সমস্ত বাইক ও গাড়ি চেকিং করা হয়। এবার পুজোয় বাইকে তিনজন চাপলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল পুলিস। কেবলমাত্র স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ছোট শিশু থাকলে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনজন প্রাপ্তঃবয়স্ক হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া গাড়ি ও বাইক চালানোর অপরাধে অনেককে কেস দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের ডিএসপি(সদর) সৌভিক পাত্র বলেন, সারাবছর রুটিনমাফিক আমাদের চেকিং চলে। কিন্তু, পুজোর সময় বর্ধমান শহরে কড়া চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শহরে নাকা চেকিংও করা হয়েছে। প্রতিদিনই গড়ে ১০০ করে কেস করা হয়েছে। বাইক ও গাড়ি মিলিয়ে পাঁচদিনে প্রায় ৫০০ মামলা করা হয়েছে।