উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের মরশুমের আগেই চুপির পাখিরালয়কে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিকনিক স্পট, অতিথি নিবাস সহ আশেপাশের এলাকায় মরশুমি ফুলের চারা লাগানো হয়েছে। রাস্তার দু’পাশের ঝোপ জঙ্গল কেটে সাফাই করা হচ্ছে। নতুন করে পথবাতি দিয়েও সাজানো হবে। করোনা আবহের মধ্যেও পুজোর মরশুমে পর্যটক আসছেন চুপিতে। রাত্রিবাস করছেন ছাড়িগঙ্গার পাশে তৈরি অতিথি নিবাস ও কটেজে।
বিডিও বলেন, শীতের মরশুমের আগেই চুপির পাখিরালয়কে আরও ভালো করে সাজানো হবে। জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় হাটতলা থেকে কাষ্ঠশালী পুরনো অতিথি নিবাস পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। চওড়া পিচ রাস্তা হলে যানবাহন চলাচলে সুবিধা হবে। পর্যটকরা সরাসরি গাড়ি করে পাখিরালয়ে চলে আসতে পারবেন।
রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় চুপির পাখিরালয়কে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। শীতের মরশুম পড়লেই বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির আসা শুরু হয়। ছাড়িগঙ্গার বিশাল এলাকাজুড়ে তাদের জলকেলি দেখে সকলের মন ভরে যায় পর্যটকদের। অনেকে পিকনিকে মেতে ওঠেন। রেলপথের পাশাপাশি সরাসরি সড়ক পথে চুপির পাখিরালয়ে আসা যায়। এসটিকেকে রোড থেকে পূর্বস্থলী স্টেশন রোড হয়ে এখানে পৌঁছনো যায়। অনেক দিন ধরেই চুপির হাটতলা থেকে কাষ্ঠশালীর হাটতলা পর্যন্ত পিচ রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। এছাড়া ওই রাস্তার কিছু অংশ কয়েকজন বাসিন্দা নিজেদের দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ। তবে নতুন রাস্তা সম্প্রসারণের সময় ওই রাস্তা তাঁরা জনস্বার্থে ছেড়ে দেবেন বলে প্রশাসনকে আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টুরিস্ট বাসে করে সরাসারি পিকনিক স্পট বা ছাড়িগঙ্গার পাড়ে যাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ২০০ মিটার দূরে শ্যামসুন্দরতলায় স্টুরিস্ট বাস বা অন্য কোনও বড় গাড়ি রেখে যেতে হয়। তবে টাটাসুমো বা মারুতি জাতীয় ছোট গাড়ি পিকনিক স্পট পর্যন্ত যায়। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য প্রশাসনের তরফে জায়গা রাখা আছে। কাষ্ঠশালী ফুটবল মাঠেও গাড়ি পার্কিং করা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাখিরালয়ের রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে এবছর পর্যটকদের ঢল নামবে। করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিযায়ী পাখিদের জলকেলি দেখতে কোনও অসুবিধা নেই বলে তাঁদের দাবি।