প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, যে তিনজন ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে ফিভার ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে এবং একজনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এক্সরে রিপোর্ট দেখেই করোনার পরীক্ষা করা হবে কি না তা ঠিক করা হবে। এদিকে, লকডাউনের দিনের সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঁকুড়া জেলায় বাড়ছে নিয়ম ভাঙার প্রবণতা। এদিন সকালেই জেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহকুমা ও ব্লক শহর এবং গ্রামগুলিতে বহু দোকান বাজার খোলা ছিল। কোনও কাজ ছাড়াই বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের জটলা দেখা যায়। সমস্ত জায়গাতেই রাস্তায় নেমেছে টোটো। লকডাউন শুরুর মুহূর্তে শহরের যে সমস্ত রাস্তার মোড়ে ব্যারিকেড করে পুলিস টহল দিচ্ছিল, তার অধিকাংশ জায়গা এদিন পুলিসশূন্য ছিল। বেলার দিকে জেলা সদরের হাতেগোনা কয়েকটি পয়েন্টে পুলিস নজরদারি চালায়।
এদিন মাচানতলার মোড়ে পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন। তবে কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ মানুষ শহরে ঘুরে বেড়ান। ইন্দাসে নিয়মভঙ্গ করে সকাল থেকে মিষ্টির দোকান খোলার অভিযোগে শুক্রবার দু’টি দোকানের মালিককে পুলিস আটক করেছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে রামপুর বাজারে সাবান ও মাস্ক বিলি করা হয়। এছাড়াও শহরের চারটি ওয়ার্ডে চাল, ডাল আলু বিতরণ করা হয়।
এদিকে আরামবাগেও লকডাউন অমান্য করে অবাধে যাতায়াত চলায় উদ্বেগ বাড়ছে পুলিস-প্রশাসনের। এদিন আরামবাগ, গোঘাট ও পুরশুড়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাইরে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। জরুরি পরিষেবা হিসেবে ব্যাঙ্কগুলিকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। সেই কারণে মাসের প্রথমদিকে ব্যাঙ্কে বিভিন্নরকম কাজ নিয়ে ও প্রবীণ মানুষরা পেনশনের টাকা তুলতে এসে ভিড় জমান। সন্ধ্যার পর পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে জমায়েত বাড়ছে।
আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ও আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। অন্যদিকে, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি অবস্থিত শহরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমকেও ৩০ শয্যার করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মহকুমা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার ও পুলিস সুপার এস সেলভা মুরগান এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন। জেলাশাসক বলেন, জেলায় আইসোলেশনে থাকা দু’জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে ৩৯টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩০টি জায়গায় ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে যাঁরা আছেন, তাঁদের মন ভালো রাখতে সেখানে টিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা সেখানে গিয়ে কথাও বলছেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা হাসপাতাল হিসেবে রোটারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা হয়েছে। বাকি জায়গার কাজও চলছে। এছাড়াও গণবণ্টন ব্যবস্থায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে।
পুলিস সুপার বলেন, পুরুলিয়া থেকে ৫৪ জন দিল্লির নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন। তবে তাঁরা কেউ পুরুলিয়ায় ফেরেননি। তাঁরা কোথায় রয়েছেন, জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কঠিন সময়ে জনগণকে প্রশাসনের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।