বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
যদিও পিকের টিমের সার্ভেকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর প্রার্থী হওয়ার জন্য বহু মানুষই আবেদন করছেন। তবে কে প্রার্থী হবেন, এবার তা দলনেত্রীই ঠিক করবেন। তবে বর্তমান কাউন্সিলারদের সামগ্রিক কাজ, জনসংযোগ ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি দল নিশ্চয় খতিয়ে দেখবে।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী তিন পুরসভার মেয়াদ মে মাস নাগাদ শেষ হচ্ছে। তাই পুরসভা নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের তরফে ওয়ার্ড বিন্যাস থেকে শুরু করে সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভোটের জন্য সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে। জেলার তিন পুরসভা শাসক দলের দখলে থাকলেও লোকসভা নির্বাচনে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা দেখা গিয়েছে। তাই পুরসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জনসংযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূল। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ভোটগুরু পিকের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষের মন বুঝতে টিম পিকের সদস্যরা ওয়ার্ডে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রত্যেক কাউন্সিলারের কাজের খতিয়ান, অনিয়ম, নাগরিকদের সঙ্গে ব্যবহার, কোনও গোষ্ঠী তৈরির কাজ করেছেন কি না, তার খোঁজ নিচ্ছেন। কোনও কাউন্সিলারকে পরিবর্তন করার কথা বললে কেন তাঁকে পরিবর্তন করা উচিত মনে হচ্ছে এবং তাঁর পরিবর্তে কাকে প্রার্থী করা যেতে পারে সেই সম্পর্কেও তাঁদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে ওয়ার্ডে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে কি না? থাকলে কয়টি গোষ্ঠী ও তাদের মধ্যে কারা তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজের মাধ্যমে জনসংযোগ করেন তার খবর নিচ্ছেন।
সূত্রের খবর, পিকের টিমের সদস্যদের সংগ্রহ করা এই রিপোর্ট বিচার বিশ্লেষণ করেই দলীয় নেতৃত্ব আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবেন। আর তাতেই শাসক দলের বর্তমান কাউন্সিলারদের একটা অংশের উপর কোপ পড়তে চলেছে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তবে ওই সমস্ত কাউন্সিলারের জন্যই যে সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল, তা মানছেন শাসক দলের একাংশ। গতানুগতিক পদ্ধতি অনুযায়ী কাউন্সিলাররা যে টিকিট পাবেনই, এমনটা নিশ্চিত নয় বলছে শাসক দল। তাই এবার টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়ে জেলার তিন পুরসভারই একগুচ্ছ কাউন্সিলার আশঙ্কায় রয়েছেন।