বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চুড়াভাণ্ডার এলাকার তৃণমূল নেতা ভোম্বল ঘোষের উপর আক্রমণের অভিযোগ ওঠে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার তিনি মারা যান। রবিবার সন্ধ্যায় ভোম্বলবাবুর মৃতদেহ ময়নাগুড়ি দলীয় কার্যালয়ে এসে পৌঁছয়। দলের জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব তাঁর মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে। এরপরই তাঁর মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় চারটি বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে যায়।
ময়নাগুড়ির তৃণমূল নেতা মনোজ রায় বলেন, আমাদের দলের কেউ রবিবারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাইরের কিছু লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের ধারণা তৃণমূলের বদনাম করতে বিজেপির গুন্ডা বাহিনী এই কাজ করেছে। এব্যাপারে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, তৃণমূলের লোকজনই রবিবার আমাদের কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। তারা এখন আমাদের নামে মিথ্যা কথা বলছে। আমরা কেন আমাদের দলের লোকের বাড়িতে গিয়ে আগুন লাগাব। এটা কী কখনও সম্ভব?
রবিবার রাতের ওই ঘটনার পর সোমবার চুড়াভাণ্ডার এলাকায় থমথমে পরিবেশ ছিল। এদিন সকাল থেকেই বিশাল পুলিস বাহিনী এলাকায় টহল দেয়। এলাকায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার ডেন্ডুপ শেরপা, ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা, ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা রয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে মোম জ্বালিয়ে মিছিল করে। তাদের এই মিছিল ময়নাগুড়ি ব্লক সদর পরিক্রমা করে।