বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ডিসি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন প্রকাশ্যে মাইক বাজানো আইন বিরুদ্ধ। আমরা এর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি।
শনিবার একটি সংস্থার আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ঘিরে ওই পার্কে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের এক নেতার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা পার্কের লিজ নেওয়া বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়কে মারধর করেছে। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। যদিও তৃণমূল পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধেই গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন থানা ঘেরাও ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে গেরুয়া শিবির। এদিন সকাল থেকে পার্কের পূর্ব প্রান্তে নেতা কর্মীরা জড়ো হন। দুপুরে মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে হাজির হলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুরো রাস্তায় মাইক বাজিয়ে স্লোগানের মাধ্যমে পুলিস ও শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করে তারা। এমনকী থানার সামনে মাইকে বক্তব্য রাখা হয়। ওই তৃণমূল নেতা সহ দোষীদের তিনদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে জেলাজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি। তবে পুলিস বিজেপির বিরুদ্ধেই পাল্টা মামলা করে তাদের চাপে ফেলল বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এদিন বিজেপির কর্মসূচিতে জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দে, শিবরাম বর্মন, ছোটন চক্রবর্তী, মুখপাত্র জিতেন চট্টোপাধ্যায় হাজির ছিলেন।
অন্যদিকে, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠান ঘিরে এদিন কড়া নিরাপত্তা ছিল। হিন্দি ভাষা প্রচারের অনুষ্ঠানে হাজির হন আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্থি, চেয়ারম্যান মৃগেন পাল সহ অধিকাংশ মেয়র পরিষদ ও তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। সেখানে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, এক বিজেপি নেতা বলেছিল, আমি হাতে চুড়ি পরে বসে নেই, যে এখানে অনুষ্ঠান হবে। আমি বলি, উনি কি চুড়ি পরে নিয়েছেন। তবে হিন্দি ভাষার প্রচার অনুষ্ঠানে যাতে বাঙালি ভাবাবেগে আঘাত না হয়, সেদিকে নজর রেখে তিনি বলেন, হিন্দি ভাষার প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু বাংলা ভাষাকে প্রয়োজনীয় সম্মান দিয়েই তা করতে হবে।
উল্লেখ্য, পার্কের দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা দেবাশিস রায়ের অনুমতি না নিয়ে ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও, উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল, ওঁর পার্কের লিজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই অনুমতির কোনও প্রয়োজন ছিল না। এই ঘটনাকে নিয়েই শনিবার অশান্তি শুরু। রেস্টরেটে ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধর, গুলি চালোনার মতো ঘটনাও ঘটে। বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্ণণ ঘোড়ুই বলেন, পুলিস যা খুশি করতে পারে। কিন্তু অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হলে কেমন আন্দোলন হয় তারা বুঝবে।