বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, জনগণকে বিভিন্ন পরিষেবা দিতে আমরা কৃষ্ণনগর পুরসভায় সমন্বয় কর্মসূচি করলাম। এর মাধ্যমে এক স্থানে একসঙ্গে বিভিন্ন প্রশাসনিক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। প্রত্যেক পুরসভায় এটা হবে। সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতেও এটা আমরা করব।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, জেলাশাসক, জেলার পুলিস সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই, মহকুমা শাসক মণীশ ভার্মা, পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, এটা একটা অত্যন্ত সুন্দর প্রয়াস। এর আগে যখন এটা ব্লকে ব্লকে হয়েছে, তখনও আমরা দেখেছি বহু মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। মানুষের এখন প্রশাসনের উপর আস্থা ভরসা অনেক বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সব সময় মানুষের পাশে আছি।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক সপ্তাহেই এই কর্মসূচি পালন করা হবে। কোন পুর এলাকায় কোন দিন কোথায় এই কর্মসূচি পালন হবে তার তালিকাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেখানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, সবুজসাথী, জাতিগত শংসাপত্র এরকম বহু প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বার্ধক্যভাতা, বিধবা ভাতা, অক্ষমতা ভাতা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে আবেদনকারীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। সমস্যা নিয়ে কথাও বলতে পারবেন। আবার তা জমা দেওয়ার জন্য থাকছে সাজেশন বা কমপ্লেন বক্স। সয়েল হেলথ কার্ড, ফার্ম ইমপ্লিমেন্টসের জন্য যারা পূর্বে আবেদন করেছেন, তারা সুবিধা পাবেন। রূপশ্রী, বাংলা আবাস যোজনার অন্তর্গত কোনও সমস্যা হলে আবেদনকারীরা এই জায়গাগুলিতে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবে। যারা আগেই আবেদন করেছেন, তাঁদের ছাগল, মুরগি, হাসের ছানা দেওয়া হবে। এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন কাজের শংসাপত্রের ব্যাপারে আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনও করা যাচ্ছে এই শিবির থেকে। জেলাশাসক বলেন, আমরা নিশ্চিত এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
রূপশ্রীর টাকা নিতে এদিন শিবিরে এসেছিলেন মৌমিতা ঘোষ। তিনি বলেন, অন্য সময়ে অফিসে গেলে ঘুরতে হয়। এখানে দিনের দিনই টাকাটা পেলাম। এটাতে আমার অনেকটাই সুবিধা হয়েছি। অনেকটাই খুশি আমরা। সরকারের এই উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, এদিন কৃষ্ণনগরে আয়োজিত সমন্বয় কর্মসূচিতে চার হাজারের উপরে মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। ড্রাইভিং লাইন্সেন্স, জাতিগত শংসাপত্র, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, রূপশ্রীর মতো নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের কাউন্টার এদিন বন্ধ করা যায়নি।